স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহীর বাগমারায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলা কৃষক দলের সদস্যকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত কৃষক দল নেতার নাম আব্দুর রশীদ (৬০)।
তিনি উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের বাসিন্দা। আহত আব্দুর রশীদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কৃষক দলের নেতা আহত আব্দুর রশীদ জানান, রোববার ( ১ ডিসেম্বর) সকালে তিনি নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববতি যশের বিলে পিঁয়াজের জমিতে কাজ করছিলেন।
সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে একই এলাকার আব্দুল কাদেরের নির্দেশে তার ভাই নাদের আলী, ছেলে রেজাউল করিম, ভাতিজা রাকিবুল হাসান, প্রতিবেশী সাগর আলী ও লিটন মিয়া দেশীয় অস্ত্র, হাসুয়া, লোহার রড ও বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে কৃষক দল নেতা আব্দুর রশীদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করে।
তাদের মারপিটে আব্দুর রশীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তপাত ও ফোলা জখম হয়। আব্দুর রশীদের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা কেটে পড়েন।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন আহত কৃষকদল নেতা আব্দুর রশীদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আহত কৃষকদল নেতা আব্দুর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আব্দুল কাদেরের (ভাটা কাদের) সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।
কিছু দিন পূর্বে আব্দুল কাদেরের ছেলে রেজউল করিমের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হয়। এর জের ধরে রোববার সকালে কাদেরের নির্দেশে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়।
তাদের হামলায় আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাগমারা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আমি হামলাকারী সকল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
হামলার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় বিএনপি’র নেতা আব্দুল কাদেরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মারামারির বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।