রাজশাহীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পদত্যাগ দাবি

রাজশাহী

লিয়াকত হোসেন:

রাজশাহী মহানগরীর হোসনীগঞ্জ বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুন নাজনীনের পদত্যাগ এবং আত্মসাৎ করার অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক রাজশাহী বিভাগীয় বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেয় রাসিকের ৯ নং ওয়ার্ড ও পাশের অভিভাবক বৃন্দ।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, হোসনীগঞ্জ বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুন নাজনীন অসামাজিকভাবে চলাফেরা করেন, তিনি প্রায় শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলেন, প্রায়শো সময় তিনি মোবাইলে ভিডিও দেখেন নয়তো নিজ কক্ষে শুয়ে থাকেন।

বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের সাথে তিনি অদ্ধতপূর্ণ আচরণ করেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করেন যা ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অত্র বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য পাওয়া ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার তেমন কোন দৃশ্যমান কাজ দেখা যায়নি।

ইতিপূর্বে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অভিভাবকদের কাছে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে চরিত্রবান শিক্ষক আশিকুলকে ফাঁসানোর চেষ্টাও করেন এবং এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

গত ২৩ শে অক্টোবর নানা অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দ তার পদত্যাগের দাবি করে আন্দোলন করলে তিনি দরজা বন্ধ করে রুমের ভিতরে থেকে যান।

পরবর্তীতে থানা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের কথা শুনে প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা লাগিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যেতে বলেন এবং অত্র বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হবে বলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেন।

কিন্তু হঠাৎ করে গত ৪ই ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষককে অত্র বিদ্যালয়ের দেখা গেলে অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

প্রধান শিক্ষককে অত্র বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার এবং তার সময় লুটপাট করা অর্থ ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যালয়টির শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা রাজশাহীর বিভাগীয় উপ-পরিচালক সানাউল্লাহ বলেন, আমি সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম অফিসের বাইরেও ছিলাম তবে হোসনীগঞ্জ বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি আমি এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবো না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *