উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃ
যাত্রা পালার সম্রাট ব্রজেন্দ্র কুমার দে’র ছোট পুত্র তিনি৪ নভেম্বর নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।তাঁর এই আকস্মিক প্রয়াণ আমার মতো যাত্রা প্রেমীকেবিমর্ষ করেছে।
যাত্রার উৎকর্ষ প্রচারে লড়াই করেছেন তরুণ কুমার দে। পালাকার ব্রজেন্দ্র কুমার দে’র স্মৃতি বুকে আগলে রেখেছেন এবং অসাধারণ মেধা ও মননশীল মানুষ ছিলেন তিনি।
ব্রজেন্দ্র কুমার দে’র জীবনের অজানা দিক, তাঁর পালা ভাবনার গভীর সামাজিক ব্যঞ্জনা বাঙালি র কাছে অজ্ঞাত রয়ে গেলো সেই অর্থে।
ব্যক্তিগত জীবনে তরুণ কুমার দে ছিলেন নরেন্দ্র পুর রামকৃষ্ণ মিশন এর পদার্থ বিজ্ঞান এর স্নাতক। পরবর্তীতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র ইলেকট্রনিক এবং টেলি কমিউনিকেশন বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী প্রাপ্ত, বায়োলজিক্যাল এফেক্টস অফ ইলেকট্রনিক এন্ড ম্যাগনেটিক ফিল্ড এ পিএইচডি করেন, বাংলা ভাষার প্রযুক্তি বিদ্যার বই লিখেছেন তিন দশক ধরে, যাত্রার ক্ষেত্রে অসংখ্য লেখা তাঁর রয়েছে, বরাবর যাত্রার সাহিত্য গুণ ও উৎকর্ষ এর স্থান নিরূপণ এর জন্য লড়াই করেছেন।
তাঁর বিখ্যাত বই অজানা দূষণ। ছেলে বেলা থেকেই গল্প প্রবন্ধ নাট্য বিষয়ে প্রবল আকর্ষণ, অন্যান্য যাত্রা বিষয়ক লেখার মধ্যে অন্যতম পালাকার অঘোর চন্দ্র কাব্য তীর্থ, পালাকার ব্রজেন্দ্র কুমার দে, যাত্রা ও নাটক প্রসঙ্গ, প্রসঙ্গ ব্রজেন্দ্র কুমার দে।
তাঁর রচিত ও অভিনীত যাত্রা পালা বধূ বিনোদিনী, সুলতান মামুদ, চাদ সদাগর, নসীব, আলোর সারথি ব্রজেন্দ্র কুমার, যাত্রার সম্পর্কে ছিল অগাধ জ্ঞান, যাত্রা গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর জ্ঞান অপরিসীম, নাট্যব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক সম্রাট মুখোপাধ্যায় স্মৃতিচারণ করে বলেছেন।
তরুণ কুমার দে’র মৃত্যু যাত্রা গবেষণা ও যাত্রার উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি, ব্রজেন্দ্র কুমার যুগের যে তথ্যগত দিক নির্দেশনা তিনি দিতেন, তাঁর অবসান হলো। তরুণ কুমার দে’র মৃত্যুতে তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। ভালো থাকুন অমৃতলোকে।