স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহী নগরীর বহরমপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুস সাত্তার এর ছেলে ব্যবসায়ী মাসুদ রানা মিল্টনের কাছ থেকে নানান অজুহাতে নগদ এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নিবে বলে আরো ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রাজশাহীর পবা উপজেলার বসুয়া এলাকার বাসিন্দা মুক্তার আলীর মেয়ে মৌসুমী বেগম।
প্রেমের জালে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে প্রতারণা করা মৌসুমীর নেশা এমন একটি অভিযোগ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাসুদ রানা মিল্টনের।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মিল্টন বলেন আমার সাথে দোকানে মোবাইল রিচার্জ করার মাধ্যমে তার পরিচয় হয় দোকানে যাতায়াত বাড়তে থাকায় এক পর্যায়ে তার সাথে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি এক পর্যায়ে মৌসুমী আমাকে তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা জানান তাকে বিয়ে করলে সব অনৈতিক কর্মকাণ্ড ছেড়ে সংসার করবে বলে সম্মতি পোষণ করে।
এবং পরবর্তীতে জেলা রাজশাহী নোটারি পাবলিকের নিকট বিবাহ পরবর্তীতে অনৈতিক কাজে জড়িত হবে না মর্মে সে আমার সাথে একটি অঙ্গীকারনাম সম্পাদনা করে।
পরবর্তীতে সে আবারও অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে আমি জানতে পারার পর সেইচ্ছাই সে আমাকে তালাক প্রদান করে এবং এর কিছুদিন পরে তালাক নামার কাগজ আসলে আমি স্বাক্ষর প্রদান করি।
এ ঘটনার জের ধরে আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করে মৌসুমী এরপর থেকে চলে আমার উপর অমানবিক নির্যাতন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় লোকজন দিয়ে মারধর করে বিকাশ এজেন্ট থেকে জোর করে টাকা বের করে নিয়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন সময় হয়রানি করে আসছে।
বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন দিয়ে ভাই ভীতি দেখাচ্ছে ১০ লক্ষ টাকা না দিলে আরো কঠিন মামলা দিবে বলে হুমকি প্রদান করে।
প্রথমে প্রবাসীর স্ত্রী পরিচয়ে প্রেম তারপর বিয়ে অতঃপর প্রতারণা করে অনেকের কাছ থেকে টাকা ও সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচয় দানকারী এই মৌসুমী বেগম।
মান সম্মানের ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পায় না শুধু ব্যবসায়ী মাসুদ রানা মিল্টনের নয় তার এহেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন আরো অনেকেই।
প্রতারণার কাজে মৌসুমী একাই নয় তার সঙ্গে সহযোগিতায় ভূমিকায় ছিলেন তার মা বিউটি বেগম তার ফুপুশিলা ওরফে সুমি ও অজ্ঞাত পরিচয়ে কয়েকজন যুবক, ব্যবসায়ী ও অর্থবিত্ত শালীদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতারণা করে আসছে বলে অভিযোগ করে বলেন মৌসুমীর কাছ থেকে তালাকপ্রাপ্তা স্বামী মিল্টন।
অনুসন্ধানে এ চক্রের সঙ্গে মৌসুমীর কয়েকজন আত্মীয়র জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া অনুসন্ধানে জানা যায় মৌসুমী এর আগেও ২১ সালে বিয়ের ফাঁদ পেতে এক ব্যবসায়ীর সাথেও প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
২০১৯ সালে মৌসুমী তার প্রথম স্বামী আনোয়ার হোসেন কে তালাক দেয় তাকে তালাক দেওয়ার পরেই এক প্রবাসীকে বিয়ে করেছেন বলে জানা যায়।
প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক পরে ব্ল্যাকমেলিং এর মাধ্যমে ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে থাকেন এই মৌসুমী।
ভুক্তভোগী মিল্টন আরো বলেন মৌসুমী আমার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে শিলা বেগমের মাধ্যমে আমাকে মামলা তুলে নিয়ে সব কাগজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে লক্ষীপুর এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতারণার জন্য ডেকে নেয়।
এবং সেখানে আমাকে আটকে রেখে ৩০০ টাকার ফাঁকা স্ট্যাম্পের স্বাক্ষর করানোর চেষ্টা করে।
সে সময় কোনরকম প্রাণ নিয়ে ফিরে আসি আমি পরে আবার অজ্ঞাত লোক দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর চালিয়ে অনেক ক্ষতি সাধন করে আমার।
সেই থেকে ভুক্তভোগী মিল্টন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাই সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এবং রাজশাহীবাসীর সহায়তা কামনা করেন তিনি আরও বলেন আমার মতো যেন আর কেউ এই মহিলার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব না হয়।
অভিযোগের বিষয়ে মৌসুমীর কথা বলতে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।