নওগাঁর পোরশায় জমির ধান মাড়াইতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহী

লিয়াকত হোসেন:

জাল জালিয়াতি করে অস্তিত্বহীন মামলাকে কেন্দ্র করে আধিয়ার চাষীদের জমির কাটা ধান মারাইতে বাধা প্রদান করছে একটি জালিয়াতি চক্র।
এ কারণে প্রায় ২২ বিঘা জমির ধান নিয়ে বিপাকে পরেছেন আধিয়ার চাষীগন।

ঘটনাটি নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার ছাওর ইউনিয়নের বিপ্রভাগ গ্রামের। এ ঘটনায় পোরশা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আধিয়ার চাষী মোঃ মোকছেদ আলী।

অভিযুক্তরা হলেন, ১। মোঃ আব্দুস সামাদ শাহ্
(৬৫) পিতা মোঃ শামসুল হুদা শাহ্, ২। মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩০) পিতা মোঃ হালিম
শাহ্, ৩। মোঃ ইমতিয়াজ হাসান (৩৫) পিতা মৃতঃ আব্দুল লতিফ শাহ্, ৪। মোঃ জোনাইদুর রহমান (২৮) পিতা মোঃ ফজলে আহম্মেদ, ৫। মোঃ
মোজাহারুল (২৪) পিতা মোঃ মোস্তা শাহ্-সহ তাদের ভাড়াটিয়া ৮/১০ লাঠিয়াল বাহিনী লইয়া বর্নিত ধান মাড়াইতে বাধা প্রদান করে এবং অশ্লিল ভাষায় গালমন্দ করে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পোরশা থানাধীন বিপ্রভাগ মৌজার আরএস ১২৪ নং ও ৪৮ নং খতিয়ানভুক্ত প্রায় ৮০ বিঘা সম্পত্তির মালিক মৃত আমিন সাহ্ ‘র ০৩ (তিন) ছেলে ও ৪ (চার) মেয়ে।

রেকর্ডীয় সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসাবে সেই সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছেন। সেই সম্পত্তি বিপ্রভাগ গ্রামের মোঃ মোকছেদ আলী (৪২), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ হারেজ আলী, ও মোঃ তমসের আলী

আধিয়ার হিসাবে প্রাপ্ত হইয়া চাষাবাদ করিয়া আসছেন।

একটি রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে ও আদালতের রায়কে তোয়াক্কা না করে জমির মালিক দাবী করে ধান মাড়াই মেশিন বন্ধ করে দিয়ে ধানের ভাগ দিতে হবে বলে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করে আসছেন।

তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্মরনাপন্য হইলে চক্রটি সন্তোষজনক কোন জবাব না দিতে পারায় উক্ত স্থান ত্যাগ করে।

সোমবার (৯ডিসেম্বর) প্রতিবেদকগণ সরেজমিন বিপ্রভাগ গ্রামে উপস্তিত হলে এর সত্যতা মিলে।

ভুক্তভোগী মোকছেদ আলী বলেন, আমরা রেকর্ডীয় সম্পত্তির মালিকের কাছ থেকে জমি আধিয়ার নিয়ে ধান রোপণ করে আসছি।

কিন্তু জালিয়াতি চক্রের লোকজন জমির কাগজ আছে বলে ধানের ভাগ দিতে হবে না দিলে ধান মারাই করতে দিবো না। এই ফসল ঘরে তুলতে না পারলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।

বর্তমানে এই জালিয়াতি চক্রটির কারনে চরম আতংক ও নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছি নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।

আমিন সাহ্’র ছেলে নাসির উদ্দীন বলেন, এটা আমাদের বাবার জমি দাদা বাবাকে দিয়ে গেছে , বাবা মারা যাওয়ার পর খাজনা দিতে গিয়ে দেখি জাল ডিক্রি নিয়ে জমির হাতানোর চেষ্টা করছে আমার চাচা সামাদ সাহ্ তৎক্ষণাৎ আমরা কোর্টে কেস করি এবং পর পর আমরা তিনটি ডিক্রি পাই।পৌএিক সূএ থেকে আমরা জমি ভোগ দখল করে আসছি।

তারপরেও আমাদেরকে বিভিন্ন সময় চাচা হয়রানি করে আসছেন। এই জালিয়াতি চক্রের সুষ্ঠু বিচার আমি দাবি করছি।

মুল অভিযুক্ত সামাদ সাহ্ বলেন, এটা আমার বাবার জমি আমার ভাগের ধান নিতে এসেছি। আমার কাছে সব কাগজ আছে এখন দেখাতে পারবো না। রেকর্ড আমার বড় ভাই আমিন সাহ্’র নামে আছে কিন্তু এটা আমার বাবার জমি।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিন রেজা বলেন, এদের জমি নিয়ে ঝামেলা দীর্ঘদিনের পূর্বেও সমাধানের চেষ্টা করেছি, আমি আধিয়ারদের অভিযোগ পেয়েছি সুষ্ঠু তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *