স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহী’র বাগমারা’র সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তরুণ সেনাসদস্য সজিব হোসেনকে (১৯)। দীর্ঘ ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের অনন্তপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রংপুর সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। ছুটিতে বাড়িতে আসার পথে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। স্বজনেরা জানান, গত ১২ ডিসেম্বর সবিজ হোসেন ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
ওই দিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি ট্রেন থেকে শান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনে নামেন। রাতের বেলা শান্তাহার থেকে বাগমারায় পৌঁছানোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সজিব হোসেন এক বন্ধুকে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তাঁর বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে ওইদিন রাতে শান্তাহার থেকে বাড়িতে নিয়ে আসছিলেন।
রাত ১১টার দিকে তাঁরা আত্রাই শিমুলতলি মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ভটভটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আত্রাই থানার পুলিশ স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী সেনানিবাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়াতে বগুড়া সিএমএইচ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে অবস্থা অবনতির দিকে গেলে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয় পরেরদিন।
সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার মর্ডান সিসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসায় থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। নিহত সেনাসদস্য চাচা শহিদুল ইসলাম বলেন, মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন সজিব।
সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে বাঁচানোর। দুই বছর আগে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর ভাতিজা। তাঁর বাবা আবদুর রশিদ জানান, ছেলে বাড়িতে পৌঁছবে বলে রাতে খাবার প্রস্তুত করে জেগে ছিলেন তাঁরা। তবে রাত ১২ টার দিকে আত্রাই থানার পুলিশ ছেলের দুর্ঘটনার খবর দেয়।
ছেলের শিশুকাল থেকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ ছিল। আল্লাহ সেই স্বপ্ন পূরণ করলেও চাকরি করতে পারলো না বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্বজনেরা জানান, নিহত সেনাসদস্যের লাশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গ্রামে পৌঁছানো হবে।