রাজশাহী জেলা ডিবির সফল অভিযানকে দুর্বল করতে মরিয়া মাদক মাফিয়ারা

রাজশাহী

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:

রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের সফল অভিযানকে ব্যার্থ করতে মাঠে সক্রিয় মাদক মাফিয়ারা। কেননা পুঠিয়া দুর্গাপুর এলাকায় রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশ সাঁড়াশী অভিযান চালিয়েছিল সেই এলাকা থেকে এবার রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে গুজব ছড়ানোর অপচেস্টা চালানো হচ্ছে।

খোদ আওয়ামীলীগের মদদপুষ্ট মাদক ব্যবসায়ীরাই এবার নিজেদের বাঁচাতে পুলিশের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে, মিথ্যা সাক্ষী সাজিয়ে রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশ তথা পুলিশ বাহিনীকে নতুন বিতর্কিত করার অপচেস্টা চালাচ্ছে মাদক মাফিয়াদের একটি চক্র ।

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর লাগামহীন অবস্থা বিরাজ করছিল দেশব্যাপী। সেই ফাঁকে মাথা চাঁড়া দেয় মাদক ব্যবসায়ীরা। তারপরেও ৫ই আগস্টের পর থেকে রাজশাহী জেলা ডিবি তাদের দক্ষতার মধ্যে দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

এ ধারাবাহিকতায় রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন দুর্গাপুর উপজেলার পুরান তাহিরপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন।

গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে মুরাদ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন।

কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, মুরাদ হোসেন ইতিপূর্বে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ও পরবর্তীতে নভেম্বর মাসে পরপর দুইবার রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে রাজশাহীর এসপি বরাবর পরপর ২ বার অভিযোগ দাখিল করেন এবং সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং তদন্ত কমিটি সত্যতা না পাওয়ায় এসআই আব্দুর রহিমকে উক্ত ঘটনা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

কিন্তু তারপরেও এসআই আব্দুর রহিমের পিছু ছাড়েননি মুরাদ হোসেন।কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কি কারনে একই একই এসআইএর বিরুদ্ধে বার বার পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করছেন মুরাদ হোসেন ?আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক মুরাদ হোসেনের আসল পরিচয় কি ?

রাজশাহী জেলার অন্তর্গত দুর্গাপুর উপজেলার তাহেরপুর গ্রামের মুরাদ হোসেন আওয়ামী নেতাদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছেন কিন্তু কখনো তিনি ধরা পড়েননি।

নিজস্ব অর্থায়নে ব্যবসায় জড়িয়েছেন ৫ থেকে ১০ জন যুবককে। উপরোক্ত বিষয়গুলি জানিয়েছেন তাহেরপুর গ্রামের একাধিক এলাকাবাসী।অত্র এলাকার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক আব্দুল কাদের বলেন মুরাদ হোসেন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ।

সে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এবং রাজনীতির আড়ালে সে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। স্থানীয় পুলিশ তাকে কয়েকবার ধরলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের তদবিরে ছাড় পেয়ে যান এই মুরাদ হোসেন। মূলত এনজিও কর্মীর বিষয়টাও তার টাইটেল মাত্র।

আপনারা অনুসন্ধান করে দেখুন সে একজন প্রকৃত অর্থে মাদক ব্যবসায়ী।অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার একজন তরুন রাজনীতিবিদ জানান – মুরাদ হোসেন মূলত আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল স্থানীয় এমপি এবং ক্যাডাদের সাথে ছিল সক্ষতা।

সেই আলোকে মুরাদ হোসেন মাদক ব্যবসার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে ফেলেছিলেন। স্থানীয় বেকার যুবকদের কাজে লাগিয়ে সে তার মাদক ব্যবসা চালাত। ৫ই আগস্ট এর পর নিজেকে বাঁচানোর জন্য সে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রছায়া এবং এনজিও কর্মী পরিচয় দিয়ে বাঁচতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।

তবে অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, দূর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতো মুরাদ হোসেন। মুরাদ হোসেনের একাধিক ছবিও রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে।

কখনো ছবি তুলেছেন সাবেক এমপি আবুল কালাম এর সাথে তোর কখনো ছবি তুলেছেন তার ক্যাডার সোহেলের সাথেও। বিষয়ে এদিকে সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী জেলা ডিবিএস আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান মুরাদ হোসেন এ পর্যন্ত আমার নামে পরপর দুইবার রাজশাহী জেলা এসপির কাছে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পর পর দুইবার রাজশাহী জেলার দুইজন এসপি তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। উক্ত রিপোর্টে আমি নিরপরাধ বলে পরিগণিত হই।এদিকে রাজশাহী রাজশাহীর আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে দূর্গাপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য এডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন – আমরা দেখেছি, রাজশাহী জেলায় হঠাৎ করেই মাদকে তরুন তরুনীরা জড়িয়ে পড়ছে এবং যেখানে সেখানে ভ্রাম্যমান ভাবে মাদক ডেলিভারীও হচ্ছে।

পুলিশ পোশাকে থাকে বিধায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের পোশাক কিংবা গাড়ি দেখলেই নিজেকে আড়াল করে নেয়। কিন্তু জেলা ডিবি পুলিশ যেহেতু ছদ্মবেশে যে কোন অভিযান করতে পারে তাই রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিধায় এই ডিবি পুলিশকে যদি কোন মাদকচক্র ফাঁসাতে চায় তবে তা প্রতিহত করা উচিৎ।

অনুসন্ধানের সার্থে সার্বিক বিষয়ে মুরাদ হোসেনের সাথে সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে রাজশাহীর সুশীল সমাজের নাগরিকবৃন্দ মনে করছেন রাজশাহী জেলা ডিবির বিরুদ্ধে মাদক মাফিয়ারা একটি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচার চালিয়ে রাজশাহী জেলা ডিবির সফল অভিযানকে ব্যর্থ করতে এ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *