নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর পবা থানাকে ম্যানেজ করে উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিন ফসলিজমিতে অবৈধভাবে রাতের আধাঁরে চলছে বিএনপির কথিত নেতা আউয়ালের পুকুর খনন।
প্রায় ৫ বিঘা ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে আউয়ালসহ কয়েকজন বিএনপির প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে। রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা বড়গাছি ইউনিয়নের সাহাপুর কানপারায় আনুমানিক ৫ বিঘা ফসলে জমিতে চলছে এই পুকুর খনন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যা গড়িয়ে একটু অন্ধকার হলেই শুরু হয় মাটি বিক্রির মহাউৎসব। ২ টি ভেকু মেশিন অর্ধশত কাঁকড়া গাড়ি একের পর এক মাটি ভর্তি গাড়ি চলে যাচ্ছে ইটভাটায় অন্যদিকে চলাচলের অযোগ্য কর্দমাক্ত মহাসড়ক যেনো মরনফাঁদ।
প্রকাশ্যে পবা থানা পুলিশের টহল টিমের সামনে মাটি বহন করলেও পুলিশ যেন দেখেও না দেখার ভান। এভাবেই পবা উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে একের পর এক পুকুর খনন। স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে জানা যায়, ২০ লাখ টাকা চুক্তিতে কাজটি শুরু করেছে বিএনপি’র নেতা আওয়াল তার মাথার উপরে ছায়া হয়ে রয়েছে নওহাটার ডিস ব্যবসায়িক বিএনপির আরেক নেতা শরীফ।
পবা থানাকে ম্যানেজ করে তারা নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এমনকি ইউএনও অথবা এসিল্যান্ড যদি অভিযানের জন্য থানায় ফোর্স চাই ওসি হোয়াটসঅ্যাপে আগেই আওয়াল কে সাবধান করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম কে ফোন দিলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি দ্রুত কাজ বন্ধের ব্যবস্থা নিব বলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এ বিষয়ে পবা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মোঃ জাহিদ হাসান জানান, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে খুব দ্রুত সেখানেও অভিযান করা হবে।