রাজশাহীর বিলশিমলায় প্রতারণা করে জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহীর মহানগরীর নতুন বিলসিমলা এলাকায় বহরমপুর মৌজায় পৈতৃক সম্পত্তি প্রতারণা করে বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে সেই সাথে উভয়ের চলাচলের রাস্তাটি দখল করে দোকান ঘর বানানোর পায়তারায়ও গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে এই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য সুজন ও বাবলু দিংদের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে সাংবাদিক লিয়াকত হোসেনদের সাথে রাজশাহী সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চললাম রয়েছে যার নম্বর ১৮৬/১৮।

রাজপাড়া থানাধীন বহরমপুর মৌজায় এস.এ-১৪৭ এবং আর, এস খতিয়ান নং ২৬৯, সাবেক দাগ ২৪১ হাল -৩৩৭ দাগে, ৩৯ শতকের কাত.০৮২৫ একর বা ৫ কাঠা জমির রেকর্ডীয় সম্পত্তির প্রকৃত মালিক মৃত সোহরাব উদ্দিন। তার মৃত্যুর পরে ০৫ ওয়ারিশগন অধিগ্রহনের পরে অবশিষ্ট থাকা জমি যথাক্রমে মো লিয়াকত হোসেন,

মো: লুৎফর রহমান, আব্দুল লতিফ, শিরীন সুলতানা ও শামসুল নাহার শিউলির নামে ২০২৫ সাল পর্যন্ত খাজনা খারিজ প্রচলিত আছে। সম্প্রতি উক্ত জমিতে দীর্ঘদিন থেকে প্রভাব বিস্তার করে প্রতারক চক্রটি অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ভুয়া মালিক সেজে প্রত্যেক দাগে দাগে খাজনা দিয়ে বিক্রি করার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন।

এই চক্রটি ইতিপূর্বে ৩৩৮ দাগের মালিক হিসেবে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করেছেন। কিছু দিন আগে ৩৩৭ ও ৩৩৯ দাগের মালিক সেজে ৫/৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই চক্রটি। অধিগ্রহনের টাকা নেওয়ার পরেও এরা ৩৩৭ ৩৩৮ ৩৩৯ ও ৩৪০ রাস্তাটি নিজ বলে দাবী করছেন এটা কারো বোধগম্য নয়।

চক্রটির অন্যতম সদস্য নগরীর বিলশিমলা এলাকার বাবলু দিংরা বিগত সরকারের সুবিধা নিয়ে রাতারাতি বিএনপির নেতা বনে যাওয়া চক্রটি পক্ষগনের চলাচলের ৩৪০ দাগের রাস্তাটি নিজ দখলে দাবি করে দোকান ঘর নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অপরদিকে আমির হোসেনের ওয়ারিশ সাহাদত হোসেন ও আওয়ামী নেতা আরিফ হোসেনরা নিজ রাস্তা দাবী করে অধিগ্রহণের টাকাও তুলে নিয়েছেন নিজ বাড়ির অংশ দেখিয়ে।

এ চক্রের অন্যতম ক্রেতা হিসেবে রয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ও মমিন উদ্দিন দিং। ৩৩৭ দাগের মালিক সাংবাদিক লিয়াকত হোসেনের দুই ভাইসহ এলাকাবাসী নিজ ভুমিতে গেলে রেজাউল ইসলাম দিং নানাভাবে হুমকি ধামকিসহ মার মুখি আচরণ করে যা ভিডিও ক্লিপ সংরক্ষিত আছে। আমরা আইনগত ও কাগজ কলমে জমির প্রকৃত মালিক হওয়ায় প্রশাসন আমাদের পক্ষে সকল আইনি সহায়তা প্রদান করছেন।

তবুও একটি প্রতারক চক্র জমিটি দখলে নেওয়ার পায়তারা করছেন। এর আগেও পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বিস্তার করে ওই মহলটি নানাভাবে জমিটি নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিন থেকে হয়রানি করে আসছেন।

রাস্তার টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার অভিযুক্ত সাহাদত হোসেন বলেন, বহরমপুর মৌজার সাবেক ২৪১ দাগে ৪ শতাংশ জমি আমার দাদী আমার আব্বাকে দিয়ে গেছে রেকর্ড আমার বাবা আমির হোসেনের নামে ৮২ নম্বর খতিয়ানভুক্ত আছে।

আপনার দাদীর দলিলে পক্ষগণের যাতায়াতের রাস্তা হিসেবে উল্লেখ্য থাকলেও কিভাবে অধিগ্রহণের টাকা তুলেছেন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এচক্রের অন্যতম সদস্য বাবলু বলেন, দুলাল দিং ও আমরা ২০০৯ সালে এল এ শাখা থেকে ৩৩৮ দাগে অধিগ্রহণ বাবদ জমি ও বিল্ডিং এর টাকা তুলেছি এখনও ৩৩৭ ও ৩৩৯ দাগে খাজনা দিচ্ছি ৩৪০ দাগে কয়েকদিনের মধ্যে দিবো।

দলিল ছাড়া কিভাবে খাজনা দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের ৯০ খতিয়ান অনুযায়ী খাজনা দিচ্ছি। জমি ক্রেতা পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, বাবলুদের কাছে আমরা জমি কিনি নাই ওরা আমাদের নামে মিসকেস করে ছিলো আমরা ডিক্রি পেয়ে ৫ পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে উভয়ে সমাধান করে নিয়েছি।

এক জনের জমি অন্যজনের কাছে কিনতে পারেন কিনা এ বিষয়ে কোনো সদ উত্তর দিতে পারেনি এই পুলিশ কর্মকর্তা। এসব বিষয় জানতে বড় কুঠি ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাগজ যার জমি তাঁর।

কাগজ না থাকলে জোর করে কেউ কারো জমি দখল করতে পারবে না। এব্যাপারে যাদের কাগজ সঠিক তাঁরাই জমি পাবেন এবং তাঁরা আইনি সহায়তা পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *