এসএম রুবেল,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি।
যৌতুকের দায়ে দুইকন্যা নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে সংসার হারা বিলকিস,সেইসাথে সু বিচার পেতে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগী বিলকিস অপরদিকে আদালতে মামলা চলা অবস্থায় নারীলোভী পরকীয়ার আসক্ত স্বামী আতাউর কথিত স্ত্রী নিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পেয়ে বেরিয়ে আসেন,ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে বারঘরিয়া ইউনিয়নের ফিল্টের হাট পেট্রোল পাম্পের সামনে হামেদ আলির ভাড়াবাড়ীতে এদিকে
জানাগেছে-আঙারিয়া পাড়া পাকড়তলা মোড় গ্রামের মরহুম আবদুল্লা হিল কাফির পুত্র আতাউর রহমানের সাথে নারায়ণপুর গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের মেসবাহুল হকের কন্যা বিলকিস বেগমের সাথে ২০১৪ সালে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সূত্রে প্রস্তাবের মাধ্যমে বিবাহ করতে বাধ্য করেন পিতা হারা বিলকিস খাতুনকে স্বামী আতাউর,
তাদের দাম্পত্য জীবনের সংসার চলাকালে ১ বছরের মধ্য তাদের ঘরে জন্ম নেই প্রথম কন্যা সন্তান আশিয়া পরবর্তীতে দ্বিতীয় কন্যা আতিয়া। বিয়ের পর নারী ও যৌতুক লোভী আতাউর রহমানের চরিত্র ফুটে ওঠে স্ত্রী বিলকিছ বেগমের কাছে,আতাউর রহমান প্রায় সমায় স্ত্রী বিলকিসের কাছে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি সহ মানসিক টর্চার করতো।এনিয়ে ৮ বছরের দৈনন্দিন জিবনে তাদের সংসারে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো।একসময় আতাউরের স্ত্রী বিলকিস স্বামীকে জব্দ করতে ২০২২ সালে থানায় একটি অভিযোগ করেন।
এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন যাবত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী বিলকিস ২০২৩ নারী শিশু নির্যাতন ও যৌতুক আইনে ভরন প্রশনের মামলা করেন আদালতে,মামলা চলাকালীন অবস্থায় আতাউর রহমান বৈধ স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুই মাসের মাথায় কথিত স্ত্রী নিয়ে সংসার চলাকালীন শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে এলাকাবাসীর হাতে নাতে ধরা পড়ে তারা পরে আতাউর ও তার কথিত স্ত্রীর তাদের বিয়ের কোন ডকুমেন্টস দেখাতে না পারায় স্থানীয় জনতাকে মুছলেখা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী ভরনপোষণ না পেয়ে আদালতে দ্বারস্থ বিলকিস বেগম ও তার দুই কন্যা সন্তান নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে বিলকিস বেগম ও তার একটি কন্যা নিয়ে বক্তব্যে বলেন আমি তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। এমনকি সংসার করতেও চাই। কিন্তু সে আমাকে নানারকম নির্যাতন করে এবং আমাকে নিয়ে সংসার করতে চাই না। তাই বাধ্য হয়েই মামলা দায়ের করেছি। আমার দুই সন্তানের কথা ভেবে এনিয়ে একটি সুষ্ঠ সমাধান চাই। সে দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে আমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদের আগেই আরেকজনের সাথে বিয়ে করে সংসার চালাচ্ছেন
এনিয়ে এলাকাবাসী অবিলম্বে লম্পট আতাউর রহমান কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মাননীয় আদালত,বিচারক মন্ডলী সহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রাশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।