স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাতাব হোসেনের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অর্থ আত্নসাত সহ নানা রকম দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করে এবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন মটর শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মোঃ জহুরুল ইসলাম জনি।রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা রাজশাহী জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ শ্রমিকগণ।
গত ৪ অক্টোবর ২০১৯ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাহাতাব হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত বিক্রি হওয়া দুতলা বোর্ডিং সাধারণ শ্রমিকদের ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে বোর্ডিং এর সাইনবোর্ড তুলা হয়।
কিছুদিনের ব্যবধানে আবার নামিয়ে নেয়া হয় এবং সাধারণ শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেন। পরবর্তী সময়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নামে কেনা ললিতাহারে ১৯ কাঠা সম্পত্তি ৩ কোটি ৮২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেয়। কিন্তু নেতাদের তিনি বলেন ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা করে বিতরণ করেন। এবং বাকি টাকা আত্নসাত করেছে মাহাতাব হোসেন।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও নতুন সদস্য ভর্তির ১ কোটি টাকার বেশি প্রতিদিনের হাজার হাজার টাকা আঞ্চলিক কমিটির নামে আত্নসাত করেন তিনি। শুধু তাই নয় শ্রমিক ইউনিয়নের ফান্ড থেকে প্রতি মাসে তিন লক্ষ টাকা আদায় করে মাহাতাব নিজেই আত্নসাত করেছে। তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় জোর করে অফিসের ভিতর নিয়ে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ও আমার ছেলেদের জিম্মি করে ভয় দেখিয়ে কিছু ভাউচারে স্বাক্ষর নিয়েছে এবং আমাকে অফিস থেকে বের করে দিয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মাহাতাবের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ০৫ ডিসেম্বরে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং ৪৫ দিনের মধ্যে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচন হবে, তাই একটি রেজুলেশন পাশ করে এবং নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়নের সমস্ত আয়-ব্যয় এবং আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা করার কথা থাকলেও কোন আয় ব্যাংকে জমা করা হয়নি, যা গঠনতন্ত্র বিরোধী।
সকল দুর্নিতীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমাকে আমার কোষাধ্যক্ষের কোন দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। এছাড়া গত ২০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে ওই কমিটিরও মেয়াদ শেষ হয়। এরপর আর নির্বাচন হয়নি। তাই আমরা চাই, এই মাহাতাব হোসেনের সকল অন্যায় অনিয়ম এবং দুর্নিতীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এবং শ্রমিক কর্মচারীদের অর্থ ও অধিকার যথাযথভাবে ফিরিয়ে দেয়া হোক।