নিজস্ব প্রতিবেদন : রকিবুল হাসান সনি ফেসবুকে প্রেম করে আত্রাই এর ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিয়ের দাবিতে অনশন করে।
সরজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় যে, গত প্রায় এক বছর যাবত আত্রাই উপজেলার ব্রুস পাড়া পূর্বপাড়ার গ্রামের মোঃ হাফিজ উদ্দিন এর ১০ম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুন খাতুন (রুহি) মোবাইলের ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়েন, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বদোপাড়া গ্রামের, মোঃ রকিব উদ্দিনের ছেলে, শিহাব আলীর সাথে। সেই সূত্র ধরে ফেসবুকে চলে যোগাযোগ আর কথাবাত্রা।
পরে দুজনের সম্মতিতে বিভিন্ন জায়গায় দেখাও করেন একাধিক বার। হয়েছে শারীরিক সম্পর্কও। দুজনার মধ্যে মনমালিন্য নিয়ে গত প্রায় ১৫ দিন যাবত ফেসবুকে ব্লক করে রাখে এবং নাম্বার বন্ধ করে রাখে প্রেমিক শিহাব আলী। কোনভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে, অবশেষে বিয়ের দাবি নিয়ে হাজির হয় প্রেমিকা রুহি। এ সময় এদের ঘটনা দেখতে উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড় হয়।
বিষয়টি নিয়ে অনেকেই হাস্যরসও করছে। প্রেমিকা রুহি শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দুদিন যাবত অনশন করে। এই ঘটনায় অনেকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু পড়ে দেখে তারা দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। যার কারনে এদের বিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে জান্নাতুল খাতুন রুহি বলে, ফেসবুক মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে আমাদের এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক।
এই এক বছর সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার শিহাব আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আর দেখা করে। পরবর্তীতে শিহাব আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তখন আমি বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার নাম করে এসে সিহাবের বাসায় বিয়ের দাবিতে অনশনে বসি। আমাকে সিহাবের সাথে বিয়ে করে না দিলে তার বাসায় গিয়ে আমি আত্মহত্যা করব। কারন আমার জীবনের মূল্যবান সম্পদ আমি ইজ্জত হারিয়েছি।
সে আমাকে ভোঁসলে ফাসলে দৈহিক সম্পর্ক করেছে আমার একটাই দাবি আমি শিহাবকে বিয়ে করতে চাই। এ বিষয়ে জানতে করা হলে কিশোরীর পিতা হাফিজ উদ্দিন প্রামানিক বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল পুঠিয়া উপজেলার শিহাব উদ্দিন নামের এক ছেলে। এ বিষয়ে আত্রাই থানায় একটি মামলা করেছি। আমি চাই শিহাব উদ্দিন নামের ওই ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শিহাব আলীর মা তিনি বলেন, পুঠিয়া থানায় কিছু নাই আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি তবে আত্রাই থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টা আমরা শুনেছি তবে কি করা যায় তা আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তারেকুর রহমান সরকার বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে বিস্তারিত আরো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।