ইমাম হোসাইন: রাজশাহীর পুঠিয়ায় দিনে রাতে সমানতালে চলছে লোডশেডিং। জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১৫ ঘন্টাই বিদ্যুত থাকছেনা। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলায় তীব্র লোডসেডিং চলছে। বিদ্যুতের অভাবে জনজীবনে চলছে অচল অবস্থা।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ পুঠিয়া জোনাল অফিস সূত্রে জানাগেছে, পুঠিয়া উপজেলায় বর্তমানে দৈনিক ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও সেখানে তারা খুব কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। কোন কোন সময় ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে, পরে বিদ্যুৎ থাকছে না দেড় ঘন্টা দেড় ঘন্টা থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত। তীব্র তাপদাহের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় অস্বস্তিতে পড়েছে পুঠিয়া উপজেলা বাসি।
এদিকে এত বেশি লোডশেডিং এর কারণে ব্যাপকভাবে হবে ক্ষোভে ফুঁসছেন বহু মানুষ। বর্তমানের উপজেলায় বিদ্যুৎ কখন যায় কখন আসছে তার ঠিক নেই। এলাকায় প্রচলিত রয়েছে পুঠিয়ায় বিদ্যুৎ যায় না আসে। এছাড়াও প্রচন্ড গরমের কারণেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডসেডিং করতে হয় বলে অফিস সূত্রে জানাগেছে। লোডসেডিংয়ের কারণে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ থাকায় উপজেলাবাসী গরমে হাবুডুবু খাচ্ছেন।
বর্তমানের যে লোডসেডিং চলছে উপজেলাবাসী তাকে ভায়াবহ লোডসেডিং বলে জানিয়েছেন। এলাকায় বিদ্যুতের আসা যাওয়ার প্রতিযোগিতায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
এছাড়াও বর্তমানে বোরো ধানের সেচ মৌসুম হওয়ায় বিদ্যুৎ না থাকায় আরো বেশি বিপাকে পড়েছেন উপজেলার ধান, ভুট্টা, সবজি চাষী কৃষকরা। যদি এভাবে বিদ্যুতের যাওয়া-আসা লুকোচুরি বন্ধ না হয় তাহলে ধান ভুট্টা চাষীদের কপাল পোড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এছাড়াও রমজান মাস হওয়ায় অনেকেই বিদ্যুতের অভাবে করতে পারছেন না রান্নাবান্না। এবং বিদ্যুতের অভাবে ব্যাপক ভাবে পিছিয়ে পড়ছে উপজেলার বেশ কিছু ফ্যিল্যান্সাররা। তাতে করে চাপ বাড়ছে সরকারের বিদেশী রেমিট্যান্স ডলারের উপরও।
ইয়াকুব আলী শেখ, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম তিনি মুঠোফোনে জানান, রাজশাহী জেলা উন্নয়ন সমন্বয় মিটিং হলো, ওখানেও বললাম যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না, কারো তো কিছু করার নেই। ডিসি স্যার বলেছিলেন করণীয় কি। আমি বললাম স্যার বৃষ্টি হলে ভালো হবে তাছাড়া আর কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এছাড়াও এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে আবার এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকবে না বর্তমানে এই অবস্থায় রয়েছে এমনটাই জানান ওই কর্মকর্তা।