নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক ভূমিহীন গরীব আফসার আলীর ঘরবাড়ি সহ বাড়ির সবকিছু পুড়ে গেছে। ঈদের আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়েছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) উপজেলার ধোপাপাড়ার, পূর্বপাড়া গ্রামে দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ওই আগুনের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, আফসার আলী পিতা মৃত, পচা প্রাং, সে একজন দরিদ্র লোক, যার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কাজ করেন। দুদিন আগে বাড়ি এসেছেন ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করতে। এ দিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঈদের দাওয়াত পেয়ে, ঈদের দিন সকালে পরিবার নিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা সৈয়দপুর গ্রামে যায় শ্বশুরবাড়িতে ঈদ পালন করতে। কাছে মোবাইল না থাকায় রাতে নিজের বাড়ি স্বপ্নপুড়ে ছাই হয়ে গেলেও কোন খবর পায়নি আফসার আলী।
দরিদ্র আফসার আলীর তিনটি ঘরের আসবাবপত্র বা ঘরের বাসের সিলিং ঢেউটিন সহ যা কিছু ছিল সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে করে ভুক্তভোগী আফসার আলী ব্যাপকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
এদিকে এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আফসার আলী শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন, এবং আফসার আলী তিনটি ঘরের মধ্যে দুইটি ঘরে দরজা জানালা দিয়ে নিরাপত্তা থাকলেও পূর্ব পাশের আরও একটি ঘরে অবাধে চলাচল করা যেত জানালা খুলে। অনেকেই ধারণা করছেন ঐদিন আফসার আলী ও তার পরিবার বাড়িতে না থাকায় এলাকার কিছু গাঁজাখোর বা বখাটেরা জানালা দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে সেখানে মাদক সেবন করার পর তাদের রেখে যাওয়া আগুনে পুড়ে যায় আফসার আলীর বাড়ি এমনটাও অনেকেরই ধারণা।
এছাড়াও যে ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেই ঘরে বিদ্যুতের কোনো তার বা লাইন অথবা কোনো সংযোগ ছিল না। এছাড়াও যে ঘরে আগুনের সূত্রপাত ওই ঘরে কিভাবে আগুন লাগতে পারে তা নিয়ে রয়েছে এক প্রকার ধোঁয়াশা।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার হারুনুর রশিদ তিনি বলেন, আগুন ধরার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। বাড়িতে যা কিছু ছিল সবকিছু পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরেছে। এছাড়াও ৫০০০০ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করে একটি রিপোর্ট করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, তিনটি ঘর ঢেউটিন দিয়ে তৈরি করতে যে পরিমাণ বাঁশ-কাঠ ব্যবহার করা হয় তা বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রায় ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা শুধু বাঁশ-কাঠেই খরচ হয়। এছাড়াও তিনটি ঘর এর জন্য তিনসহ আরো অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ভালো একটা খরচ পড়ে যায়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তুলে ধরেছেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে উল্লেখ করে। এছাড়া বাড়ির মালিককে কোন জিজ্ঞাসা ছাড়াই ধারণা করে রিপোর্টটি করা হয়েছে।