শাহাদত হোসেন রাজশাহী:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় সাংবাদিক সোহানুর রহমান সোহানকে মারধর করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয়ার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০ ঘটিকার সময় পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক সোহানুর রহমানের পিতা মোঃ আনোয়ার হোসেন। তিনি তার ছেলেকে অন্যায় ভাবে মারধর করার জোর বিচার দাবি করেন। এছাড়াও উপস্থিত সাংবাদিকরা, সাংবাদিক সোহানুর রহমান সোহানের উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার দাবি করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনের সাবেক এমপি মুক্তিযুদ্ধা অধ্যাপক আবুল হোসেন, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের পুঠিয়া শাখার সভাপতি স্বপন কুমার নিয়োগী, পুঠিয়া পৌরসভার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন, শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক আরিফ সাদাত (দৈনিক নয়াদিগন্ত), মোঃ শাহনেওয়াজ (দৈনিক আজকের পত্রিকা), মোহাম্মদ আলী (দৈনিক যায়যায়দিন), জামাল দিন সুমন (নুতুন প্রভাত), আমিরুল রুমি (বাংলাদেশ বার্তা), মিলন সরকার, আকাশ ঘোষ (সোনার দেশ), নজমুল ইসলাম ঠান্টু (রাজশাহী প্রতিদিন), নাহিদ হাসান, সাংবাদিক বজলুর রশিদ, সাংবাদিক সোহানুর রহমানের পিতা মোঃ আনোয়ার হোসেন, ইমন আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন
উল্লেখ্য যে, গত (২২ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজের সময় ঈদগাহ ময়দানের উন্নয়নে সহায়তার টাকা তোলা ও ঈদগা ময়দানকে সুন্দর করে সাজানোর বিষয়ে কথাবাত্রা হলে, একপর্যায়ে স্থানীয় আলম সরদার নামের এক ব্যক্তি এসবের প্রতিবাদ করে ও উস্কানি দিয়ে শটকে পড়ে। তার কিছু সময় পর দুই গ্রুপের মধ্যে বাঁধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে প্রায় ছয়জনকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য বলা হয়।
এরপর সাংবাদিক শাহানুর রহমান সোহান তিনিও ওই একই ঈদগা ময়দানে নামাজ আদায় করে বাসায় চলে যান। বাসা থেকে বের হয়ে স্থানীয় বাজারে সোহানের পথ আটকে হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ব্যাপকভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালানো হয়। এতে করে সোহানের হাঁটু ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে তার কাছে থাকা সকল তথ্য উপাত্ত মুছে ফেলার জন্য এই হামলা করে।