মাদক সম্রাট আরিফের নিয়ন্ত্রণে শহর জুড়ে চলছে দেদারসে মাদক ব্যাবসা প্রশাসনর নিরব

রাজশাহী

এসএম,রুবেল ক্রাইম রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:

চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মামলার আসামি তবুও ধরাছোঁয়ার বাইরে মেম্বার,স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর-সবাই জানে,জেনেও নিরব ভূমিকায়,কেউ খাচ্ছে গাড্ডা কারো করা আছে মাসিক মাসোয়ারা। চিহ্নিত এই মাদক ব্যবসায়ী যুবসমাজ ধ্বংসের মূল হোতা(আরিফ বুড়া)চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রানিহাটি ইউনিয়ন,এলাকায় মাদকের মূল ব্যবসায়ী এক নামে সবাই চিনেও জানে।

কারা-কারো বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও আছে। প্রশাসনের কাছে আছে তাদের বাসাবাড়ির ঠিকানাও। কিন্তু তারা আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকার কথা থাকলেও,এযেন এখন উল্টো হয়ে দাঁড়িয়েছে,আরিফ বুড়ার মাদকের সিন্ডিকেটের কাছে হার মেনেছে বলছেন ক্ষিপ্ত স্থানীয় এলাকাবাসী,একাধিক অভিযোগে।

বিখ্যাত মাদক সম্রাট আরিফের নিয়ন্ত্রণে বিশাল এলাকা জুড়ে চলছে মাদক বিক্রির রমরমা ব্যবসা।পুলিশ প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় এলাকাবাসী হতাশ।জানাগেছে-প্রায় দুই দশকের অধিক সময় ধরে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর থানার আওতাধীন মহারাজপুর ইউনিয়নের কালু কসাইয়ের ছেলে,আরিফ বুড়া ( ৪২)দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় যাকে বলা হয় মাদক সাম্রাজ্য,কৃষ্ণ গোবিন্দপুর মিয়া পাড়ার পাঠানপাড়া মহল্লায়,রাতদিন ২৪ ঘন্টা প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ডিলার আরিপ বুড়ার।প্রতিদিনের ব্যবসা বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে।কিছুতেই থামছে না তার দৌরাত্ম, নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন রকমারীর মাদক সরবরাহ করে আসছে। এছাও পাঠানপাড়া এলাকাটিতে রয়েছে। মাদক সেবনের বিশেষ ব্যবস্থা।

সার্বক্ষণিক তার মজুদে থাকে হিরোইন,ইয়াবা,ফেনসিডিল বাংলা মদ,গাঁজা,প্যাথেডিন,বিদেশী মদ,বিভিন্ন ক্যাটাগরির মাদক দ্রব্য, ব্যাবসা চালিয়ে আসছে তবুও ধরাছোঁয়ার বাইরে হচ্ছে না গ্রেফতার আরিফ বুড়ার তার নিয়ন্ত্রণকারীরা।

এলাকাবাসী সবার কাছে তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী হিসেবে পরিচিত,তার নামে রয়েছে প্রায় ১৫ টি মাদক মামলা।সঙ্গে রয়েছে তার সহযোগী প্রোডাকশনের হাতিয়ার নিয়ন্ত্রণকারী,রানিহাটির বাজার এলাকার ভন্ডলের ছেলে করিম,ফেনসিডিলের মাদক সম্রাট সরজমিনে গিয়ে জানা যায় ভন্ডলের ছেলে করিম,রানিহাটি বাজার ও মার্কেটের ছাদের উপরে জুড়ে দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে ফেনসিডিল সরবরাহ। আরিফের মাদক সাম্রাজ্য জুড়ে কাজ করছে,তার কর্মচারী ও সহযোগী হিসাবে মাদক খুচরা ও পাইকারী সরবরাহর করে যাচ্ছে। টিয়া,জীবন,আলিম,দুরুল,ল্যাংড়া মাহাবুল,রনি,রবু।আরো থাকছে একাধিক নাম দ্বিতীয় পর্বে।

এদিকে আরো অনেক ছোট ছোট মাদক ব্যাবসায়ী,যারা ইউনিয়নের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক বিক্রি করছে।একটি বিশ্বাস্ত সুত্রে জানাগেছে-মাদক সম্রাট আরিফ,গড়ে প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মাদক বিক্রি করে। তবে এটা শুধু খুচরা,ও পাইকারী তো রয়েছেন,গড়ে ৭ লক্ষ টাকার অধিক লেন-দেন করে। এলাকাবাসী জানায়-তার এই অপকর্মের,আরিফ দিনের পর দিন মাদক ব্যাবসা করে এলাকার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন স্থানে জায়গা জমি কিনে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে রয়েছে,তার পাঠানপাড়া এলাকায় বিশাল আকারে পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের চোখ জুড়ানো ছাদ পিটা বাড়ি,সরজমিনে গিয়ে চোখে পড়ে তার ছেলের জন্য মাসখানেক আগে রাউন্ড টেক্স বাইকার অর্থাৎ সুজুকি জিক্সার এফ এক্স ২৫০ সিসি মডেলের হোন্ডা।এছাড়াও রয়েছে তার রাত্রে মাদক বহনের জন্য কয়েকটি দামি বাইক।গোপন সূত্র জানা গেছে রাজশাহী উপশহরে পাঁচ শতক মাটি কিনার পরিকল্পনা চালাচ্ছে।

তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে অথচ প্রশাসন সবকিছু জানার পরেও তাকে গ্রেফতার করছে না।এলাকার সচেতন মহলের দাবি অবিলম্বে এলাকার যুব সমাজ রক্ষা করতে মাদক সম্রাট আরিফকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনে প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।এখনই তাদেরকে গ্রেপ্তার না করলে যুবসমাজ ধ্বংসে পরিণত হবে।

এছাড়াও আরো মাদকের সাথে যুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-জেলা,সদর, ইউনিয়নের থাকা সহ রানিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান কাউন্সিলর,আজিমের বড় ভাই জন্ম লগ্ন থেকেই মাদকের সঙ্গে জড়িত মাহাবুল ওরফে ন্যাংড়া মাহাবুল।এদের মাদক কারবারিদের মুখোশ খুলে দিতে ধারাবাহিকভাবে বিস্তারিত থাকছেন দ্বিতীয় পর্বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *