মোঃ ইসরাফিল হোসেন রাজশাহী:
গত ০৫/০৫/২০২৩ খ্রি. তারিখ ১১.৩০ ঘটিকার সময় বগুড়া ধুনট থানায় একটি সংবাদ আসে যে, ৮ বছর বয়সী একটি মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সংক্রান্তে ধুনট থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করা হয় যাহার জিডি নং-৩০১, তাং-০৫/০৫/২০২৩ খ্রি.। তাৎক্ষনিকভাবে এ সংক্রান্তে অফিসার ইনচার্জ ধুনট থানাসহ অন্যান্য অফিসার ফোর্সরা নিখোঁজ মেয়েটিকে খোজাখুঁজির এক পর্যায়ে ধুনট থানাধীন এলাঙ্গী বাজারস্থ এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে শিশু মোছাঃ মায়দা আক্তার রজনী (৮) এর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এ সংক্রান্তে তাৎক্ষণিক বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ আব্দুর রশিদ এর তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন, শেরপুর সার্কেল, বগুড়া এবং ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে ধুনট থানা পুলিশ ০৫/০৪/২০২৩ খ্রি. তারিখ ধুনট থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যার ১৪ ঘন্টার মধ্যে খুন ও ধর্ষনের ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু (১৭) কে আটক করেন।
আটককৃত এর নাম ও ঠিকানাঃ
১। আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু যাহার বয়স ১৭ বছর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু (১৭) জানায় যে, ঘটনার আনুমানিক ১০ দিন পূর্বে সে এবং তার অন্য দুইজন সহযোগীসহ ডিসিস্ড মোছাঃ মায়দা আক্তার রজনী (০৮) কে ধর্ষনের পরিকল্পনা করে। ০৪/০৫/২০২৩ খ্রি. তারিখ অনুমান সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকার সময় ডিসিস্ড (০৮) ঘটনাস্থল সংলগ্ন শহীদ মিনারের পাশের একটি বড় আম গাছের নিচে আম কুড়াতে গেলে গ্রেফতারকৃত আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু (১৭) এর সহযোগীদ্বয় সেখানে তাকে আম কুড়ানো দেখতে পেয়ে তাকে অপহরণ করে স্কুলের দক্ষিণ পাশের গলিতে নিয়ে যায় ও মুখ চেপে ধরে রেখে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং তাদের মধ্যে হতে ০১ জন যেয়ে অন্য একজনকে ডেকে নিয়ে আসে। তখন গ্রেফতারকৃত আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু(১৭) ও অন্য একজন সহ উক্ত গলিতে উপস্থিত হয়ে তারা ৩জন পালাক্রমে ডিসিস্ড (০৮) কে সেখানে ধর্ষন করে।
আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু (১৭) ও তার সহযোগীরা ডিসিস্ড(০৮) এর প্রতিবেশী হওয়ায় ডিসিস্ড তাদেরকে চিনতে পারে যে কারণে তারা ডিসিস্ড (০৮) কে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট দিয়ে মাথার বাম পাশে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। ডিসিস্ড(০৮) এর মৃত্যু না হলে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু(১৭) ও তার সহযোগীরা ডিসিস্ড(০৮) এর গলা টিপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু(১৭) ও তার সহযোগীরা ডিসিস্ড (০৮) এর লাশ গলির পাশে এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের দেওয়াল সংলগ্ন জনৈক মোঃ আঃ রাজ্জাক(৫৫), পিতা-মৃত আঃ রশিদ এর পরিত্যক্ত জায়গায় ঝোঁপের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়।
প্রকাশ থাকে যে, ঘটনার সহিত জড়িত গ্রেফতারকৃত আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু (১৭) কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য যে, এক সংক্রান্তে বগুড়া ধুনট থানায় একটি হত্যা ও ধর্ষন মামলা রুজু করা হয়েছে যাহার মামলা নং-০৪ তারিখ-০৬/০৫/২০২৩ খ্রি. ধারাঃ ৭/৯(২) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩)।
পলাতক সহযোগী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।
উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোঃ স্নিগ্ধ আখতার পিপিএম বগুড়া’র বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন। এ সময় জনাব মোঃ আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), জনাব মোঃ শরাফত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, জনাব সজীব শাহরিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, শেরপুর সার্কেল, বগুড়া সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।