মো:জাহাঙ্গীর আলম,স্টাফ রিপোর্টার:
স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করলেও শেষ কাজ সম্পন্নের আগেই হাজির ম্যাজিস্ট্রেট। বিয়ের বাড়িতে ম্যাজিস্ট্রেট আগমন ঘটনায় ঘটলো বিপত্তি। বিয়ে দিতে না পারলেও দিতে হলো মাসুল।
বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় বর এবং কনের পরিবারকে শুনতে হলো অর্থ। পন্ড হল বিয়ের মতো শুভ এক কাজ। বাল্য বিবাহের আয়োজন করার দায়ে উভয় পরিবারের নিকট থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হলো ৫০ হাজার টাকা। ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা পরিষদ করে চলে গেলেন খালি হাতে বরপক্ষ।শুভ কাজ করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটলো রাজশাহী বাগমারায়।
জানা গেছে, সোমবার উপজেলা গনিপুর ইউনিয়নের মোহনগঞ্জ গ্রামে পারিবারিক ভাবে কনের বাড়িতে আয়োজন করা হয় বিবাহের। সেই বিয়েতে বর সেজে হাজির হন দুর্গাপুর উপজেলার বক্ষপুর গ্রামের তবিবুর রহমানের ছেলে তাফিকুল ইসলাম (২৬)। বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করতে বরযাত্রী সহ মেয়ের বাড়িতে পৌঁছান তারা। দুপুরে নামাজ শেষে কাজীর মাধ্যমে বিয়ের যে আনুষ্ঠানিকতা সেটা শুরু হওয়ার কথা।
বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার আগেই উপজেলা প্রশাসনের নিকটে খবর আসে অপাপ্ত মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কনের বাড়িতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা যাওয়ার পর অভিযোগের সত্যতা মিলে।
পরে সরকারি কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরী ও পুলিশ সহ কনের বাড়িতে হাজির হন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই সাথে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ মোতাবেক বরের ২০ হাজার টাকা আদায় এবং এক মাসের কারাদণ্ড।
অন্যদিকে কনের পিতার ৩০ হাজার টাকা আদায় ৬ মাসের কারাদণ্ডদেশ প্রদান করেন সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন চৌধুরী। রায় ঘোষনা করার পর বর এবং কনের পরিবার থেকে জরিমান সমুদয় অর্থ পরিশোধ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) চৌধুরী বলেন,
বাল্য বিবাহের আয়োজন করার দায়ে উভয় পক্ষকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
সেই সাথে প্রাপ্ত বয়স হওয়ার আগে কোথাও বিয়ে দিবেন না বলে উভয় পক্ষকে অঙ্গীকার নামা প্রদান করেন। সেই কেউ যেন বাল্য বিবাহ দেওয়ার চেষ্টা না করে, সেই সাথে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
এর সাথে আরো বলেন কোন বাল্যবিবাহের অভিযোগ পেলে আইনের আওতায় আনা হবে
বলে জানিয়েছেন তিনি।