রাজশাহীর পুঠিয়ায় শিক্ষা বানিজ্য, পরীক্ষা দিতে পারে একজনের যায়গায় অন্যজন! শিক্ষার মান ও জাতিকে শিক্ষিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা থাকে ব্যাপক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা যখন শিক্ষাকে ব্যবসায় পরিণত করেন, তখন ওই জাতির স্থান ক্রমশই নিচে নামতে থাকে। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় এমন এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া গেছে যেখানে, টাকা দিলে সবই মিলে এমন পরিস্থিতি। আর একজনের জায়গায় অন্যজনকে দিয়ে পরীক্ষায় পাসও করানো সম্ভব তাদের কাছে। ইতোমধ্যে বহু মানুষ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি সমমানের পরীক্ষায় পাশ করেছেন অথচ তাদের অনেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রেই যায়নি। ঠিক এমন ঘটনার বারবার অভিযোগ আসতে থাকে এই প্রতিবেদকের কাছে। সেখানে গিয়ে মেলেও এর সত্যতা। পরবর্তীতে দীর্ঘ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্যের আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। সময় যত যেতে থাকে ততই শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্যের চোখ কপালে ওঠার মতো তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। পরবর্তীতে দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা যায় অনেকেই এমন ভাবে পরীক্ষা দিয়ে পাসও করেছেন। দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, এর মধ্যে যারা বডি চেঞ্জ করে পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের অনেকেই বলছেন, এভাবে টাকা খরচ করলে পরীক্ষা দিয়ে পাস করা সম্ভব। এমন ঘটনা হরহামেশায় ঘটছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুঠিয়া উপজেলার ধোকড়াকুল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরীক্ষারত শিক্ষার্থীদের গণনা করে সেখানেও গরমিল পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ৫১ জন পরীক্ষা দিচ্ছে অথচ সেখানে উপস্থিত ছিল ৫০ জন। সাংবাদিকদের গোপন ক্যামেরায় ধারণ হয় প্রতিষ্ঠানের সবকিছু। পরে গোপন ক্যামেরায় ধারণ হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় একজনের জায়গায় পরীক্ষা দিচ্ছে অন্যজন। গত (১৯ মে) ধোকড়াকুল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছিল ইংরেজি পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা কেন্দ্রে সরেজমিনে গেলে দেখা মিলে চোখ কপালে ওঠার মত দৃশ্য। যে যার মত দিচ্ছেন পরীক্ষা। অনেকের পরীক্ষা দিচ্ছেন আইডি কার্ড ছাড়া। আবার অনেকেই পরীক্ষা দিচ্ছেন বদলি। কেউ ঢাকার গার্মেন্টসে চাকরি করলেও তার ভাই এসেও দিচ্ছেন পরীক্ষা। দেখা মেলে এমন যা ইচ্ছে তাই অবস্থা, যদিও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর থেকে পরীক্ষক এসেছিলেন পরীক্ষা দেখতে। সবকিছুই হচ্ছে চোখের সামনে অথচ না দেখার ভান সবার। বাউবির শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সামনেই এমন টাল মাতাল ঘটনা খুব সহজেই প্রশ্ন উঠছে শিক্ষার মান নিয়ে। এসব ঘটনা সাংবাদিকদের নজরে আসলে প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান তিনি চেষ্টা চালান সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার। এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান তিনি বলেন, গ্রাম এলাকার কম শিক্ষিত লোকজন এখানে এসে ভর্তি হয়ে পরীক্ষা দেয়। তারা অত ভালো পড়াশোনা জানে না। কোনভাবে প্রতিষ্ঠানটি টিকে আছে। সামনের দিনগুলোতে আর এমন পরিস্থিতি থাকবে না সবকিছু ঠিক করে ফেলব। এ বিষয়ে জানতে দায়িত্বে থাকা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)র রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক আবু বক্কর এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। সরেজমিনে কি ঘটেছে, বা ঘটেনি তা আমার জানা নেই। কোথাও আইডি কার্ড বা বডি চেঞ্জ করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা এখানে অভিযোগ পেলে কর্তৃপক্ষকে জানাই তারা ব্যবস্থা নেয়। আমরা সরাসরি রাজশাহী থেকে ব্যবস্থা নিতে পারি না। আপনাদের কাছে কোন প্রমাণ থাকলে বা আপনাদের কোন অভিযোগ থাকলে অফিসে এসে ফিজিক্যালি কথা বলতে পারেন। আপনাদের কাছে কোন প্রমাণ থাকলে দেশ ও জাতির স্বার্থে তুলে ধরা আপনাদের দায়িত্ব। এছাড়া দায়িত্বে থাকা আঞ্চলিক ওই পরিচালক আরো বলেন, আমি যতটুকু কন্ট্রোলার সাহেবের কাছে শুনেছি, আপনারা কোনো ভুল ধরার জন্য, বা কেন্দ্র দেখার জন্য সেখানে যাননি। আপনারা অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। এমনটাই বলছিলেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)র দায়িত্বে থাকা রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক আবু বকর। এছাড়াও তিনি বারবার সরেজমিনে তার অফিসে গিয়ে দেখা করার জন্য বলেন।

রাজশাহীর পুঠিয়ায় শিক্ষা বানিজ্য, পরীক্ষা দিতে পারে একজনের যায়গায় অন্যজন!

রাজশাহী

শাহদত হোসেন,পুঠিয়াঃ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় শিক্ষা বানিজ্য, পরীক্ষা দিতে পারে একজনের যায়গায় অন্যজন! শিক্ষার মান ও জাতিকে শিক্ষিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা থাকে ব্যাপক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা যখন শিক্ষাকে ব্যবসায় পরিণত করেন, তখন ওই জাতির স্থান ক্রমশই নিচে নামতে থাকে।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় এমন এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া গেছে যেখানে, টাকা দিলে সবই মিলে এমন পরিস্থিতি। আর একজনের জায়গায় অন্যজনকে দিয়ে পরীক্ষায় পাসও করানো সম্ভব তাদের কাছে। ইতোমধ্যে বহু মানুষ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি সমমানের পরীক্ষায় পাশ করেছেন অথচ তাদের অনেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রেই যায়নি।

ঠিক এমন ঘটনার বারবার অভিযোগ আসতে থাকে এই প্রতিবেদকের কাছে। সেখানে গিয়ে মেলেও এর সত্যতা। পরবর্তীতে দীর্ঘ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্যের আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। সময় যত যেতে থাকে ততই শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্যের চোখ কপালে ওঠার মতো তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে।

পরবর্তীতে দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা যায় অনেকেই এমন ভাবে পরীক্ষা দিয়ে পাসও করেছেন। দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, এর মধ্যে যারা বডি চেঞ্জ করে পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের অনেকেই বলছেন, এভাবে টাকা খরচ করলে পরীক্ষা দিয়ে পাস করা সম্ভব।

এমন ঘটনা হরহামেশায় ঘটছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুঠিয়া উপজেলার ধোকড়াকুল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরীক্ষারত শিক্ষার্থীদের গণনা করে সেখানেও গরমিল পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ৫১ জন পরীক্ষা দিচ্ছে অথচ সেখানে উপস্থিত ছিল ৫০ জন। সাংবাদিকদের গোপন ক্যামেরায় ধারণ হয় প্রতিষ্ঠানের সবকিছু।

পরে গোপন ক্যামেরায় ধারণ হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় একজনের জায়গায় পরীক্ষা দিচ্ছে অন্যজন। গত (১৯ মে) ধোকড়াকুল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছিল ইংরেজি পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা কেন্দ্রে সরেজমিনে গেলে দেখা মিলে চোখ কপালে ওঠার মত দৃশ্য। যে যার মত দিচ্ছেন পরীক্ষা। অনেকের পরীক্ষা দিচ্ছেন আইডি কার্ড ছাড়া।

আবার অনেকেই পরীক্ষা দিচ্ছেন বদলি। কেউ ঢাকার গার্মেন্টসে চাকরি করলেও তার ভাই এসেও দিচ্ছেন পরীক্ষা। দেখা মেলে এমন যা ইচ্ছে তাই অবস্থা, যদিও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর থেকে পরীক্ষক এসেছিলেন পরীক্ষা দেখতে। সবকিছুই হচ্ছে চোখের সামনে অথচ না দেখার ভান সবার। বাউবির শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সামনেই এমন টাল মাতাল ঘটনা খুব সহজেই প্রশ্ন উঠছে শিক্ষার মান নিয়ে।

এসব ঘটনা সাংবাদিকদের নজরে আসলে প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান তিনি চেষ্টা চালান সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার। এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান তিনি বলেন, গ্রাম এলাকার কম শিক্ষিত লোকজন এখানে এসে ভর্তি হয়ে পরীক্ষা দেয়। 

তারা অত ভালো পড়াশোনা জানে না। কোনভাবে প্রতিষ্ঠানটি টিকে আছে। সামনের দিনগুলোতে আর এমন পরিস্থিতি থাকবে না সবকিছু ঠিক করে ফেলব। এ বিষয়ে জানতে দায়িত্বে থাকা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)র রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক আবু বক্কর এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। সরেজমিনে কি ঘটেছে, বা ঘটেনি তা আমার জানা নেই।

কোথাও আইডি কার্ড বা বডি চেঞ্জ করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা এখানে অভিযোগ পেলে কর্তৃপক্ষকে জানাই তারা ব্যবস্থা নেয়। আমরা সরাসরি রাজশাহী থেকে ব্যবস্থা নিতে পারি না। আপনাদের কাছে কোন প্রমাণ থাকলে বা আপনাদের কোন অভিযোগ থাকলে অফিসে এসে ফিজিক্যালি কথা বলতে পারেন।

আপনাদের কাছে কোন প্রমাণ থাকলে দেশ ও জাতির স্বার্থে তুলে ধরা আপনাদের দায়িত্ব। এছাড়া দায়িত্বে থাকা আঞ্চলিক ওই পরিচালক আরো বলেন, আমি যতটুকু কন্ট্রোলার সাহেবের কাছে শুনেছি, আপনারা কোনো ভুল ধরার জন্য, বা কেন্দ্র দেখার জন্য সেখানে যাননি।

আপনারা অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। এমনটাই বলছিলেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)র দায়িত্বে থাকা রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক আবু বকর। এছাড়াও তিনি বারবার সরেজমিনে তার অফিসে গিয়ে দেখা করার জন্য বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *