মো: জাহাঙ্গীর আলম,স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নারায়নপুর মধ্যপাড়া গ্রামে গ্রামীণ ব্যাংকের আলিপুর শাখার মোঃ শাহ আলম নামের এক ব্যক্তিকে দিনের আলোয় মানুষের সামনে চাপ্পল দিয়ে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (১৮ জুন) সকাল ১১ টার দিকে স্হানী একরামুল মাস্টার নামের এক ব্যক্তির বাড়ির দরজার সামনে কিস্তি আদায়ের সময় ওই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই বলছেন, তিনজন ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে উক্ত স্থানে এসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কাউকে মারধরের প্রস্তুতি নেয়। সে সময় খুব দ্রুত ঘটনাটি সংঘটিত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্হানীয় মহিলাদের অনেকেই ঘটনাটি দেখেছেন।
তাদের হাতে অস্ত্র থাকায় মহিলারা তাদের কাছে যেতে পারেনি। এজাহার সুত্রে জানা যায় যে, মোঃ শাহআলম (৪৩), (ম্যানেজার, গ্রামীণ ব্যাংক, নওপাড়া, দূর্গাপুর শাখা, আলীপুর বাজার) সঙ্গীয় আমার অফিসের স্টাফ মোঃ আব্দুস সোবাহন (৪২), পিতা- মোঃ কলিম উদ্দিন (মোবাঃ ০১৭১১-৪১….) সহ থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, ইং ১৮/ ০৬ /২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় আমি রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানাধীন নারায়ণপুর গ্রামস্থ জনৈক মোঃ একরামুল মাস্টার এর বাড়ীর গেটে কিস্তির টাকা আদায়ের সময় মোটরসাইকেল যোগে ৩ জন আরোহী পেছন থেকে আকস্মিক ভাবে আমার উপর আক্রমণ করে। তন্মধ্যে ০১ (জন) ব্যক্তি হ্যালমেড পরিহিত ছিল।
পেছনে বসা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ধারালো চাপাতি দ্বারা ডান হাতের বাহুতে কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। উক্ত ব্যক্তি পুনরায় কোপ দিতে উদ্যত্ত হলে আমি দৌড়ে জনৈক মোঃ একরামুল মাস্টার এর বাড়ীতে আশ্রয় নেই । উক্ত সময় আমার ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে অজ্ঞাতনামা আসামীগন মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।
ধারণা করা যাচ্ছে বা আমার সন্দেহ যে, অত্র শাখার, প্রাক্তন সহকর্মী (পরিচিতি নং-৪৬০০৯, পদবী- অফিসার) মোঃ মফিজুল ইসলাম (৩৬) মোবাইল নং- ০১৭১৩- ৭……, ০১৭৭০-৪৪৪…., পিতা- মোঃ নুরুল ইসলাম, সাং-হলিদাগাছী, পোঃ হলিদাগাছী, থানা- চারঘাট, জেলা- রাজশাহী স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রশাসনিক কারণে তাকে মাদারীপুর জোনে বদলী করা হলে সে বদলীকৃত স্থানে যোগদানের উদ্দেশ্যে ছাড়পত্র গ্রহনের সময় আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে।
যাহার প্রেক্ষিতে উক্ত ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। উক্ত সময় আমার অবস্থা আশংকা জনক হইলে স্থানীয় লোকজন আমাকে দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা করায়। চিকিৎসা কজে ব্যস্ত থাকায় এবং ঘটনার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল ।
এই বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।