মো.আল আমিন খান স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার বাবুডাইং আমবাগানে গত ১৭ জুন সংঘটিত আলোচিত শিশু শামির হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, লুণ্ঠিত চার্জার ভ্যান, ব্যাটারী এবং মোবাইল উদ্ধারসহ ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।
গত ১৭ রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় সদর মডেল থানাধীন বাবুডাইং এলাকায় জনৈক উজির এর
লিজকৃত আমাবাগানের ভিতরে প্রায় ১৫ বছরের একজন অজ্ঞাতনামা ছেলে শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন সদর মডেল থানা পুলিশকে অবগত করলে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহালসহ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার, জনাব এ এইচ এম আবদুর রকিব, বিপিএএ, বিপিএম, পিপিএম (বার) মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সদর মডেল থানা পুলিশ ভিকটিমের পরিচয় সনাক্তসহ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের নিমিত্তে নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে এবং ভিকটিমের পরিচয় সনাক্ত করা হয়।
পরবর্তীতে ভিকটিম শামির এর মা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দিলে সদর মডেল
থানার মামলা নং-৩৬, তারিখ-১৯/০৬/২৩, ধারা- ৩০২/২০১/৩৯৪/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। ঘটনাস্থলসহ আশপাশ এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২ জন আসামীর পরিচয় সনাক্ত করা হয়।
তদন্তকালে জানা যায়, বর্ণিত আসামীদ্বয় গত ১৮ জুন নাচোল থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-১৮/০৬/২৩,
ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছে। পরবর্তীতে হাজতী আসামী নাচোল থানার মুসলিমপুর জোনাকি পায়ার মোঃ আবুল কবিরাজের ছেলে মোঃ আকবারুল ইসলাম ও মুসলিমপুর গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে মোঃ মমিন দ্বয়কে বর্ণিত মামলায় পূণঃ গ্রেফতারসহ পুলিশ রিমান্ডের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত আসামীদ্বয়কে পূণঃ গ্রেফতারসহ ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামীদ্বয়কে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১৭ জুন আসামীদ্বয় সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় আমনুরা শিমুলতলা মোড় হতে বাবুডাইং এলাকায় বাগানে আম পাড়ার কথা বলে ভিকমিট শামির এর চার্জার ভ্যান ভাড়া নেয়।
পরবর্তীতে আসামীদ্বয় চার্জার ভ্যানের চালক ভিকটিম শামির‘সহ সদর মডেল থানাধীন বাবুডাইং এলাকার ফাঁকা মাঠের আমাবাগানে পৌছায় এবং চার্জার ভ্যানের চালককে কৌশলে আমাবাগানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতঃ গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ভিকটিমের চার্জার ভ্যান ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়।
গত ২০ জুন দিবাগত রাত্রে আসামীদের নিয়ে শিবগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীদ্বয়ের দেখানো তথ্যমতে ভিকটিমের লুণ্ঠিত চার্জার ভ্যান ও ৪টি ব্যাটারী উদ্ধারসহ চার্জার ভ্যান ও ব্যাটারী ক্রেতাদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয় এবং নাচোল থানা এলাকার আসামী আকবারুল এর শ্বশুর বাড়ী হতে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।