রাজশাহীর বাগমারায় ইঞ্জিনিয়ারের প্রতারণার ফাঁদে মসজিদ ও মুসল্লিরা!

রাজশাহী

মোঃ ইসরাফিল হোসেন রাজশাহী:

: রাজশাহীর বাগমারার সমশপাড়া গ্রামে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের প্রতারনার ফাঁদে পড়েছে একটি মসজিদ ও স্হানীয় মুসল্লিরা।

এমাসের ১২ তারিখে সমশপাড়া, পুর্বপাড়া জামে মসজিদে উপজেলা সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মামুন উক্ত স্হানে এসে মসজিদের ছাদ করার জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেবার নাম করে মসজিদটির টিনের চালা ২২ তারিখের মধ্যে ভাঙ্গতে নির্দেশ দিয়ে যান। কথা অনুযায়ী মুসল্লি ও স্হানীয়রা মসজিদের টিনের চালা ভেঙ্গে ফেলে। পরে উপজেলা সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মামুন ফোন করে জানায় সেই মসজিদে কোনো ছাদ হবেনা। এতে করে প্রতারনার শিকার হোন ওই এলাকার মসজিদ ও মুসল্লিরা। এতে করে স্হানীয়দের মাঝে ব্যপক ক্ষোভের দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধান চান মসজিদ কমিটি ও স্হানীয়রা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সমশপাড়া, পুর্বপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাগমারা উপজেলার সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মামুন আমাদের খুব ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দায়ের করেছি। মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলার পর আমরা খোলা জায়গায় নামাজ পড়ছি বৃষ্টিতে ভিজছি রোদেও পুড়ছি মুসল্লিদের খুবই সমস্যা হচ্ছে খুব দ্রুত বিষয়টির সমাধান চাই।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সমশপাড়া পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের টিনের চালা ফেলে দিয়ে মসজিদটিতে হাত দেবার কথা বলে উপজেলা সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মামুন নিজে এসে মসজিদ কমিটি ও স্থানীয়দের মসজিদটির টিনের চালা ভেঙ্গে খুলে ফেলতে বলেন। এবং ওই মসজিদটির সংস্কার বাবদ ২ লক্ষ টাকা দেবার ওয়াদা করেন। আশ্বাস দেন। তার কথামতো মুসল্লী ও মসজিদ কমিটিরা মিলে মসজিদ দিনের চালা খুলে ফেলে সেই থেকে খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টি ভিজে রোদে পড়ে স্থানীয় মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছেন। এখন উপজেলা সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মামুন মসজিদ কমিটির সাথে কোন যোগাযোগ করছেন না এবং ওই মসজিদের ছাদ করে দেবার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন এতে করে ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন ওই এলাকার স্থানীয় মুসল্লীরা।

এই বিষয়ে জানতে মুঠোফোন ে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা উপজেলা সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মামুন বলেন অফিসে এসে চা খাওয়ার জন্য। ফোনে মন্তব্য জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

এ বিষয়ে জানতে হলে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম আবু সুফিয়ান তিনি বলেন, বিষয়টি আমি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আসলে বরাদ্দ টি ছিল অন্য মসজিদের। আমি দেখছি অন্য কোন ভাবে টাকা ম্যানেজ করা গেলে, সে টাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদটির সমস্যা সমাধান করা হবে এ সময় তিনি সমাজের সকলকে এগিয়ে আসার অনুরোধও জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *