বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান পন্ড করতে মেয়র আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পৃথক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে পাশাপাশি ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান নিয়ে উভয়ের মধ্যে টান টান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে পূর্ব নির্ধারিত সময় সূচী মোতাবেক উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, বাগমারা উপজেলা ইউনিটের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের নেতৃবৃন্দ ও সুধীবৃন্দের ব্যানারে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মাত্র দুইশ গজ দূরত্বের মধ্যে একই দলের পৃথক দুটি অনুষ্ঠান ঘিরে টান টান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক সময় দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনামূলক শ্লোগান শুরু হয়। এ সময় পুলিশ দুপক্ষকে নিবৃত্ত করে। এ সময় উভয়ের অনুষ্ঠানের মাঝে অবস্থান নেয় বাগমারা থানা, ডিবি পুলিশ ও জেলা পুলিশের সদস্যরা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার টত্বরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফকরুদ্দিন মোহম্মাদ আগা খাঁনের সভাপতিত্বে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আকতার বেবী, সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেযারম্যান আজাহারুল ইসলাম, চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, দলিল লেখক সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলাম প্রমুখ। অপর দিকে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আ’লীগের সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ কমান্ড, বাগমারা উপজেলা ইউনিটের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের ব্যানারে কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন টিপুর পরিচালনায় পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন পুিঠয়া-দুৃর্গাপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিন্নাতুন নেছা তালুকদার, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু, জেলা আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান।
অন্যদিকে পূর্ব নির্বাধির কর্মসূচি বানচাল করতে মেয়র আবুল কালামের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবহিত না করে পাল্টা কর্মসূচি দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।