স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহীর পুঠিয়ার বেলপুকুরে এক স্কুলে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্হানীয় এলাকাবাসী।
বুধবার (৫ জুলাই) বিকেলে ধাদাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে ওই মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিজেদের মত করে চলছে। আমাদের নিজ এলাকার একজন চাকরি প্রত্যাশী ছিল, চাকরি তো দুরের কথা, তাকে চাকরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগটা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমনকি তাকে এ্যাডমিট কার্ডও দেয়নি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
এতে করে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এখানে চলছে নিয়োগ বাণিজ্য। আমরা এই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চাই। ধাদাশ উচ্চ বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এনামুল হক তিনি বলেন, আমি সভাপতি কে বলেছি নিয়োগ দিতে হলে স্বচ্ছতা থাকতে হবে, তিনি আমার কাছে সই চেয়েছিল আমি স্বাক্ষর করিনি। তিনি নতুন সভাপতি হয়ে এসেছে এমন পরিস্থিতি যে তিনি একাই সব নিয়োগ দিবে।
আমাদের কারো সাথে পরামর্শ না করে তিনি একাই নিয়োগ দিতে চাচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ধাদাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রাকিব হোসেন তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের বিগত দিনের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আমি নেতা-নেত্রীদের পায়ে ধরে স্কুলের উন্নয়ন করেছি। আর টাকা পয়সা লেনদেনের কোন প্রশ্নই আসে না।
আমি শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে স্কুলটিতে নিয়োগ সম্পন্ন করতে চাচ্ছি। এ বিষয়ে মুঠোফোনে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, আমি হজ করেছি হাজী মানুষ। এইমাত্র নামাজ পড়ে আসলাম আমি মিথ্যার আশ্রয় নেব না। স্কুলের নিয়োগের বিষয়ে কোনো টাকা পয়সা আমি কারো কাছ থেকে লেনদেন করিনি। স্হানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, মোঃ জিল্লুর রহমান তিনি বলেন, এই নিয়োগের প্রক্রিয়া হচ্ছে টেকাটুকি খাচ্ছে।
আমি নিজেই হেড মাস্টারের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছি যে, আপনারা টাকা পয়সা নিয়ে নিয়োগ দিচ্ছেন নাকি। হেডমাস্টার বলেছেন টাকাটুকির বিষয়ে আমি কিছু জানি না উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষ, সভাপতি, এমপি তারা জানেন। এবং আমাদের এলাকার ছেলে সেও এডমিট কার্ড পায়নি। তাই এই নিয়োগটা বন্ধ করা হোক পরবর্তীতে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা আজ এই মানববন্ধন করছি।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে লায়লা আখতার জাহান, পুঠিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে যেই যেই পদে অভিযোগ ওঠে, সেসব পদ এর নিয়োগ বন্ধ রাখা হবে। আগামীকাল সেখানে গেলেই বুঝতে পারব।