ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানির নেশা ছিলো তার অভিযোগে স্কুলশিক্ষক বরখাস্ত

রাজশাহী

এসএম রুবেল,বিভাগীয় ব্যুরো চীপ

স্কুলের ভিতরে সুন্দরী ছাত্রীদেরকে নিয়ে বহুদিন যাবত এভাবেই চলতো তার যৌন হয়রানি,শিক্ষক বলে মুখ খুলতো না। সাংবাদিক পেয়ে খোলসাভাবে বক্তব্য দিলেন যৌন হয়রানির শিকার গোমড়ে চেপে থাকা ছাত্রীরা।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কয়েকজন ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, শ্লীলতাহানি ও অশালীন ব্যবহারের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষককের বিরুদ্ধে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ঘাতক শিক্ষককে,এনিয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছাত্রীদের অভিভাবক। গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের হাইকেয়ার একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন কয়েকজন অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

এদিকে,থানায় অভিযোগ দায়েরের পর রবিবার (০৯ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে তদন্ত করেছে পুলিশ। এছাড়াও হাইকেয়ার একাডেমি কেজি স্কুলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়,গত ২৫ জুন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো.শহিদুল্লাহ্ তার অফিস কক্ষের ভিতরে ডেকে নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর সাথে জোরপূর্বক অশালীন ব্যবহারসহ তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে। এসময় সে চিৎকার করিলে সহপাঠী ও অন্যান্য লোকজন আগাইয়া আসিলে তাকে ছেড়ে দেয়।

পরে ওই ছাত্রীকে উক্ত ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে করলে লাল টিসি দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। ভয়ে চুপচাপ থাকে শিক্ষার্থীরা, ঘটনার বিষয় জানতে পেরে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদক এস এম রুবেল,বেরিয়ে আসে তার বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর ঘটনা,উঠতি বয়সের কিশোরীদের যৌন করা ছিলো তার চরম নেশা।

অভিযোগকারী অভিভাবক জানায়, উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমার মেয়ে আমাকে বলিলে আমি স্কুলের কমিটির সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করি। কিন্তু হাইকেয়ার একাডেমি কেজি স্কুলের কমিটির সভাপতি বিবাদী মো.আব্দুল মতিন, সদস্য আবু হেনা মো.মোস্তফা কামালকে অবহিত করলে আমাকে উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমাকে চুপ থাকতে বলে। আমি যদি ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বলি তাহলে বিবাদীগন আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করে,পরে সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানায়,এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে।স্কুল কর্তৃপক্ষের কারনেই বারবার এমন নিন্দিত কাজ করেও সে রক্ষা পাচ্ছে। আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।

হাইকেয়ার একাডেমি কেজি স্কুলের কমিটির সভাপতি বিবাদী মো. আব্দুল মতিন জানান,মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সেই স্কুল শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এমনকি তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো.শহিদুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে কথা বলতে নারাজ তিনি। পরে দেখা করার কথা বললেও দেখা করেননি তিনি ভিডিও বক্তব্য পাওয়া যায়নি তার।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান,এবিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবেে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *