বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ভ‚য়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ দেশী বিদেশী বিভিন্ন ভ‚য়া দলিল-দস্তাবেজ তৈরীর মূল কারিগরসহ ০২ জন র্যাবের হাতে আটক।
১। গত ১০ জুলাই ২০২৩ তারিখ রাত ১৮.১৫ ঘটিকায় রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানাধীন পূর্ব মোল্লাপাড়া গ্রামে র্যাব-৫, রাজশাহীর সদর কোম্পানী অপারেশন পরিচালনা করে স্বাধীনতা সংগ্রামের ভ‚য়া সনদপত্র-১৪ (চৌদ্দ) টি, (রর) ঔঙণ ইঅঘএখঅ লেখা সম্বলিত ফাঁকা সনদ-১৫(পনেরো) টি, (খ) বাংলাদেশী স্ট্যাম্প মোট-২৫৪৮ (দুই হাজার পাঁচশত আটচল্লিশ) টি, (গ) পাকিস্তানী বিভিন্ন অঙ্কের মোট -৮৩৩ (আটশত তেত্রিশ) টি স্ট্যাম্প, (ঘ) ভারতীয় বিভিন্ন অঙ্কের সর্বমোট-২৫৩ (দুইশত তিপ্পান্ন)টি স্ট্যাম্প, (ঙ) জাল-জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার নামীয় ও পদবী সম্বলিত ভ‚য়া সীল-২০৫(দুইশত পাঁচ)টি, (চ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সম্বলিত লোহার পাত ০২টি ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সম্বলিত লোহার পাত ০২টি (যাহার সাহায্যে স্ট্যাম্পের পিছনে জল ছাপ দিয়া জালিয়াতির সাহায্যে বিভিন্ন ভ‚য়া দলিল প্রনয়ণ করা হয়), জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত দোয়াত কলম-০৩টি, দোয়াত কালি-০১টি, স্ট্যাম্প প্যাড-০১টি, মোবাইল-০২ টি, সীমকার্ড-০৪র্টি উদ্ধার করে এবং জাল-জালিয়াতির মূলকারিগর আসামী
১। মোঃ আনিছুর রহমান @ রেজাউল করিম(৬৬), পিতা- মৃত কাবিল উদ্দিন, সাং- পূর্ব মোল্লাপাড়া, ২। মোঃ শেখ রেজওয়ানুল করিম সাকিন (২২), পিতা- মোঃ রাজীব হোসেন, সাং- কোর্ট বুলনপুর, উভয়থানা- রাজপাড়া, রাজশাহী মহানগর‘কে গ্রেফতার করেন
২। আনিছুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ ভ‚য়া দলিল দস্তাবেজ তৈরীর কাজে নিয়োজিত ছিল। সে সুকৌশলে ভ‚য়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রস্তুত করত এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রমাণক হিসেবে ব্যবহৃত অস্ত্র জমা দেয়ার ঔঙণ ইঅঘএখঅ লেখা সনদও প্রস্তুত করে দিত। সে ভ‚য়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও দলিল তৈরীতে সিদ্ধহস্ত।
তার নিকট কেউ ভ‚য়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ, ভ‚য়া জামানত, ভ‚য়া দলিল চাইলে বিভিন্ন অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তৈরী করে দিত। ভ‚য়া দলিল দ্বারা জমি দখলদারদের সে পুরাতন পাকিস্তানী আমলের দলিলও নিজস্ব পন্থায় প্রস্তুত করে দিত।
জাল দলিল প্রস্তুতির জন্য তিনি কালীকলম ব্যবহার করতেন। কারণ পাকিস্তান আমলে কালি-কলমে দলিল লেখা হতো। তিনি পুরাতন দলিল প্রস্তুত কারণের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের সীল নিজে প্রস্তুত করতঃ ব্যবহার করতেন। তার কাছে বিভিন্ন কর্মকর্তার সর্বমোট ২০৫ টি ভ‚য়া সীলমোহর পাওয়া যায়। তিনি নিজেকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ভ‚য়া জালদলিল প্রস্তুতকারক হিসেবে দাবী করেন।
তার কাছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ‚য়া দলিল প্রস্তুত করতে প্রতারক/জমি দখলকারীরা যোগাযোগ করেন। তিনি এ যাবৎ সহ¯্রাধিক জাল দলিল সহ বহু মুক্তিযুদ্ধের জাল সনদ প্রস্তুত করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। তিনি বিশেষ কেমিকেল ব্যবহার করে দলিলকে পুরাতন দেখানোর পন্থা আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি জাল দলিল প্রস্তুত করেন যা ধরার উপায় থাকে না।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাবের গোয়েন্দা দল গোয়েন্দা কার্যক্রম করে এবং একপর্যায়ে র্যাব-৫, সদর কোম্পানীর টিম জানতে পারে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানাধীন পূর্ব মোল্লাপাড়া গ্রামস্থ ধৃত ১নং আসামী মোঃ আনিছুর রহমান রেজাউল করিম(৬৬) তার বসতবাড়ীতে কতিপয় ব্যক্তিসহ জনসাধারনের সহিত প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে ও জালিয়াতির জন্য ভ‚য়া সীলমোহরের সাহায্যে জাল দলিল এবং ভ‚য়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রস্তুত করছে।
বিষয়টি জানা মাত্রই ধৃত ১নং আসামী মোঃ আনিছুর রহমান @ রেজাউল করিম(৬৬) এর একতলা বিশিষ্ট বসতবাড়ীতে পৌঁছা মাত্রই র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ০২ জন ব্যক্তি কৌশলে গেট খুলে পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে ঘটনাস্থলেই আটক করে।
৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামী স্বীকার করে যে, তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে লোক চক্ষুর অন্তরালে অত্র ঘটনাস্থলে সংগোপনে জব্দকৃত জাল-জালিয়াতির উপকরণসমূহ জালিয়াতির সাহায্যে বিভিন্ন ভ‚য়া দলিল, ভ‚য়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট সৃজন করে জনসাধারণের নিকট বিপুল অঙ্কে টাকা হাতিয়া নিয়ে প্রতারণা করে আসছে।
তিনি পূর্বে ২০১৩ সালে জাল জালিয়াতির মামলায় আটক হয়েছিলেন। র্যাবের এই রকম অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। আসামীর বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানায় জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণা আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ উপরোক্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি আপনাদের বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।