নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন নিহতের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- মামলার ৩ নম্বর আসামি গোদাগাড়ীর পাকড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের এনায়েত উল্লাহ সূর্য (৪০), তার ছেলে ৪ নম্বর আসামি মো. শান্ত (২০) এবং ২১ নম্বর আসামি একই গ্রামের হৃদয় বাবু (২৫)। এদের মধ্যে শান্ত চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
জানা যায়, উপজেলার ইয়াজপুর গ্রামে এনায়েত উল্লাহ সূর্যর দাদা মানিকউল্লা শেখের প্রায় ৫০০ বিঘা জমি। এসব জমি এখন হাজি মানিকউল্লা শেখ ওয়াক্ফ এস্টেটের। এর মোতোয়ালি হিসেবে সবকিছু দেখাশোনা করেন এনায়েত উল্লাহ সূর্যর ভাই আশিকুর রহমান চাঁদ। তাঁর দাবি, হাজি মানিকউল্লা শেখ ওয়াক্ফ এস্টেটের ১৪ বিঘা জমি জালিয়াতি করে নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার প্রতিপক্ষরা জমিতে ধান লাগাতে গেলে চাঁদের লোকজন হামলা করেন। এতে চারজন নিহত হন। তারা হলেন- জমির মালিক দাবিদার সোহেল রানা ছোটন (৪৫) এবং বর্গাচাষি নাইমুল ইসলাম (৮০), তাঁর ভাই মেহের আলী (৭০) ও মো. মনিরুল (৪৫)। পরে এ ঘটনায় নিহত সোহেলের ভাই মো. হৃদয় বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার মো. শান্তর মা আলতন আরা বলেন, ‘ওই জায়গা-জমি সব চাঁদ একা দেখাশোনা করে। তাদের কোনো কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয় না। অভাবে-অসুখে ভুগলেও চাঁদ তাদের দেখেন না। শুধু ভাই হওয়ার কারণে মামলায় সূর্যকে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে তাদের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে মো. শান্তকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরেই গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতে এদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত তিনজনের দুই দিন এবং দুজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। বুধবার আসামিদের কারাগার থেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে।’