লিয়াকত হোসেন রাজশাহী:
রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লুক গাছি ইউনিয়নের নন্দনপুর রাজারের সার ডিলার ম্যানেজারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুঠিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন ওই ভুক্তভোগী ম্যানেজার।
এরপর থেকে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম। ১৫ জুলাই শনিবার সকালে পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লুক গাছি ইউনিয়নের নন্দনপুর রাজারে এঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মাইনুল ইসলাম জানান, আমি পুঠিয়ার সার ডিলারের ম্যানেজার হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে নন্দনপুরে কর্মরত আছি। এ সুবাদে বিভিন্ন এজেন্ট ব্যাংকের সাথে রয়েছে আমার সুসম্পর্ক।
এরি ধারাবাহিকতায় তাহেরপুরের ডা: মাহাবুরের মাধ্যমে হুমকি দাতা মোহাম্মদ আলীর সাথে আমার পরিচয়। এরি সুবাদে তিনি রাজশাহী মহানগরীর হরগ্রাম বাজার এবি ব্যাংক এজেন্টের মালিক সেলিম হোসেন সুমনের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। পরবর্তীতে এজেন্ট ব্যাংক পক্ষ থেকে সুমনের সাথে ২ লক্ষ টাকা জামানত দিয়ে পুঠিয়া ধোপাপাড়া শাখায় ক্যাশিয়ার পদে নিয়োগ নেন।
পরবর্তীতে ধোপাপাড়া শাখা বন্ধ হওয়ার পরে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর শাখায় যোগদান করেন। যোগদানের বেশ কিছুদিন পর হঠাৎ একদিন রাজশাহী বিভাগীয় এবি এজেন্ট শাখার অফিসে এসে অব্যাহতি পত্র জমা দেন। অব্যাহতি দেওয়ার পরে মো: আলিকে ২ লক্ষ টাকার চেক ও একটি স্ট্যাম্প প্রদান করে এবং ১মাস ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে এজেন্ট মালিক সুমন অঙ্গীকারবদ্ধ হন।
কিন্তু এজেন্ট মালিক সময় মত টাকা দিতে অপারগত প্রকাশ করলে সার ডিলার ম্যানেজার মাইনুলকে প্রথমে মোবাইলে পরবর্তীতে মো: আলিসহ ৪/৫ জনের সন্ত্রাসী দল নন্দনপুর সার ডিলার অফিসে এসে ম্যানেজার মাইনুলকে ২ লক্ষ টাকা না দিলে প্রান-নাশের হুমকি ধামকি প্রদান করে।
হত্যার হুমকির বিষয় অস্বীকার করে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী জানান, মাইনুল জিম্মাদার ছিল আজ টাকা দেওয়ার কথা ছিল তাই ফোনে টাকা চেয়েছি। আমি সুমনকে চিনি না মাইনুলকে চিনি তাই টাকা মাইনুলকে দিতে হবে। এ বিষয়ে এবি এজেন্ট ব্যাংকের মালিক সেলিম হোসেন সুমনের সাথে যোগাযোগ করতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফারুক হোসেন জানান, সার ডিলার ম্যানেজার মাইনুল হোসেন মো: আলি হোসেন নামে এক ব্যাক্তির নামে থানায় একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।