গোদাগাড়ীর চারখুনের মামলার জেরে শিক্ষককে মেরে ফেলার হুমকি ইউপি চেয়ারম্যানের

গোদাগাড়ীর চারখুনের মামলার জেরে শিক্ষককে মেরে ফেলার হুমকি ইউপি চেয়ারম্যানের

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের ইয়াজপুর গ্রামে জমির বিরোধে চারজন খুনের ঘটনার মামলার জের ধরে ওই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক হত্যার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন।

তিনি আব্দুর রাজ্জাক নামের ওই শিক্ষককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে গোদাগাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।

স্কুল শিক্ষককে মেরে ফেলার হুমকির একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। যা পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে পৌছেছে।

ওই অডিওটিতে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ফোন রিসিভ করার পরই মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই সময় শিক্ষক শান্ত হয়ে কথা বলেন। কথা বলার এক পর্যায়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং রাজপথে দেখে নেয়াসহ যেভাবে ভালো থাকবে সে ভাবে ভালো থাকার ব্যবস্থা করছি বলেও হুমকি দেন চেয়ারম্যান।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ১০ জুলাই জমি দখল করতে গিয়ে চারজনকে পিটিয়ে হত্যা করে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীনের লোকজন। এ ঘটনায় গত ১৭ জুলাই নিহত মেহের আলীর ছেলে সেতাফুর রহমান ঘটনার মূলহোতা উল্লেখ করে চেয়ারম্যান জালালকে ১নং আসামি করে আদালতে মামলার আবেদন করেন। মামলার বাদি সেতাফুর আমার ভাগ্নে। মামলার বিষয়টি চেয়ারম্যান জানতে পেরে গত ২১ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টা ৫১ মিনিটে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হত্যার হুমকিসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আরও বলেন, ১ মিনিট ৫২ সেকেন্ড আমার সাথে কথা বলে এবং রাজপথে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমি এই সময় শান্ত হয়ে তার কথা শোনি। এর পর রোববার সকালে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় জিডি করেছি। জিডি নং ১০৮৫। চার খুনের ঘটনাসহ নানান ঘটনার ইন্ধনদাতা চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন যে কোন সময় আমাকেও মেরে ফেলতে পারে। এই চেয়ারম্যানের জন্য এলাকায় চরম অশান্তি চলছে।

গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান জালাল পরিচয়ে শিক্ষক রাজ্জাককে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে এ বিষয়ে থানায় জিডি গ্রহণ করা হয়েছে। এটি কোর্টে পাঠিয়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রাহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বলেন, রাজ্জাক মাস্টারকে আমি বাপের মত সম্মানকরি। রাগের মাথায় দুইটা কথা বলে ফেলেছি। এটা আমার ভুল হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে লেখালেখি না করার জন্য অনুরোধ জানান চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *