মোঃ ইসরাফিল হোসেনঃ
রাজশাহীর পুঠিয়ার নওপাড়ায় বিয়ের দাবিতে রংপুর থেকে তরুনী এসে করছেন অনশন। বাড়ি থেকে প্রেমিক এরশাদ আলী পলাতক।
ভিডিওঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে রংপুরের তরুনীর অনশন।
মঙ্গবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে ওই তরুনী অনশনে বসে, প্রেমিক এরশাদ আলীর বাসায়। সরে যমিনে গিয়ে দেখা মেলে এর সত্যতা। দেখা যায় উপজেলার ভালুকগাছি ইউপির নওপাড়া গ্রামের রাখাল মিয়ার ছেলে, এরশাদ আলীর বাসায় অনশন করছেন রংপুর থেকে আসা ওই তরুণী।
সাংবাদিকরা মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে রাখাল মিয়ার ছেলে আশরাফুল, ওই বাড়ি থেকে সবাইকে তাড়িয়ে দেয়। এমনকি স্থানীয় এলাকাবাসীদেরকেও ওই বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনশনে বসা ওই তরুণীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তরুণীর সাথে কথা হয়। ওই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে অনশনে বসা ওই তরুণীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা দুজনে ঢাকার মেঘনায় একটি কোম্পানিতে কাজ করার সুবাদে এরশাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। তা একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। আমাদের প্রায় ৮ মাস যাবত প্রেমের সম্পর্ক।
গত কিছুদিন আগে ঢাকার মেঘনা এলাকায় আমাদের দুজনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ওই ছেলেটি আমাকে ওখানে রেখে বিয়ে না করে এখানে পালিয়ে চলে আসে। তাই আমি দিসে না পেয়ে তার দেওয়া ঠিকানা তার বাসায় এসে বিয়ের দাবি জানাচ্ছি।
আমার প্রেমিক এরশাদের সাথে আমার টাকা লেনদেন রয়েছে তাকে আমি বহু টাকা দিয়েছি। আমি টাকা ফেরত চাই না। আমি স্বামী হিসেবে পেতে চাই। যার কারনে আমি এত টাকা তার পেছনে খরচ করেছি, তাকে দিয়েছি। আমি বাধ্য হয়ে এত দূর থেকে এসে তার বাসায় উঠেছি।
এ বিষয়ে জানতে প্রেমিক এরশাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ না করা তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ওই ঘটনায় জানতে চাইলে স্থানীয় মেম্বার সাইদুর রহমান তিনি বলেন, এরশাদের বাসা থেকে আমাকে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। আমি যখন ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন ওখানে দাঁড়িয়ে শুনলাম ঘটনাটি। পরে ওই অনশনে বসা মেয়েটির সাথে কথা হয়। ওই মেয়েটির সাথে কথা বলে জেনেছি তাদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তাই এত দূর থেকে বিয়ের দাবিতে এখানে এসেছে।
এদিকে ওই ঘটনা সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রংপুর, পীরগাছা উপজেলার পারূল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তিনি বলেন, তাদের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া কেন এত দূর থেকে ওই মেয়েটি ওখানে গিয়ে অনশনে বসবে। আমরা চাই বিষয়টির সুষ্ঠু একটা ফায়সালা করা হোক।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান তিনি বলেন, সকাল থেকে রাত হয়ে গেল বিষয়টি আমি এখনো জানিনা। ঘটনাটি সত্য হলে বিষয়টি দেখা যাবে কি করা যায়।