রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি আজ রাত ১০টা ১ মিনিটে কার্যকর হতে পারে। এরই মধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে মঞ্চ, পাঁচ জল্লাদ ও লাশবাহী গাড়ি। রাজশাহী জেলা কারাগারের একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভিডিওঃরাজশাহীতে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুত ৫ জল্লাদ।
সূত্র জানায়, দুই আসামির ফাঁসির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। বিদেশ থেকে আনা হয়েছে ফাঁসির দড়ি। জল্লাদ আলমগীরের নেতৃত্বে পাঁচজন জল্লাদ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া মরদেহ পরিবহনের জন্য আলাদা দুটি অ্যাম্বুলেন্সও রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে কারা মসজিদের ইমামকেও। তবে এ নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি।
এর আগে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুই আসামির পরিবারের সদস্যরা শেষবারের মতো দেখা করেছেন। কারাগার থেকে বের হয়ে জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি সবার কাছে দোয়া ও ক্ষমা চেয়েছেন। সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। তবে বিচার নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
জাহাঙ্গীরের বাবা আজিম উদ্দিন বলেন, ছেলের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছে। মাঝখানে তারকাটা ছিল। ছেলেকে ছুঁয়ে দেখতে পারিনি। ছেলে দোয়া চেয়েছে।
এদিকে আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিনের পরিবার দেখা করলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। অনেকটা নীরবে কারাগার ত্যাগ করেছেন তারা।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংস হত্যার শিকার হন তিনি। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় দুজনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।