স্টাফ রিপোর্টারঃ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, দলের আমিরসহ গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাবনায় জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুলিশের বাধার মুখে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এছাড়াও মিছিল শেষে ফেরার পথে পুলিশের গাড়ি ভাংচুরের ’অপচেষ্টার’ অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে পাবনার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহর অভিমুখে রওনা হলে মাসুম বাজার থেকে পুলিশি বাধার মুখে পরে মিছিলটি।
এ সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে জামায়াত নেতারা বিক্ষোভ মিছিল পুনরায় বাস টার্মিনালের শহীদ মিনারে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ করে। সমাবেশে পাবনা জেলা জামায়াত সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফফার খানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, জেলা সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন, জেলা নায়েবে আমীর জহুরুল ইসলাম খান, পৌর আমীর আব্দুর রকিব, সদর আমির আব্দুর রব প্রমুখ।
মিছিল পূর্ব ও পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াতের পাবনা জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বিশ্বাসী।
সভা-সমাবেশ যেকোনো রাজনৈতিক দলের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। আজকে পাবনা শহরে হাজার হাজার তৌহিদী জনতার ঢল নেমেছে। অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিতে হবে।
আমিরে জামায়াত ডা.শফিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে দিতে হবে। তিনি বলেন, আজকে দ্রব্য মূল্যের বাজারে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার আহবান জানান তিনি। এদিকে মিছিল শেষে ফেরার পথে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ৫ জন কর্মীকে আটক করেছে পাবনা সদর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- চাটমোহরের উত্তর কদমতলী উত্তর পাড়া’র আলাপ উদ্দিন ছেলে ওয়াসিম মিয়া (২৮), কুষ্টিয়া কুমারখালির চরসাদিপুরের মন্টু মন্ডলের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২) বলরামপুরের সামাদ মোল্লার ছেলে আসলাম মোল্লা (৪২), দিলালপুরের কাজী মাওলানা আব্দুল আজিজের ছেলে ছিবগাতুল্লা (২৭), চর বাঙ্গাবাড়িয়ার আব্দুল কাদের ছেলে রতন আলী (২৭)।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জামায়াতের মিছিল শেষে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে আমরা ৫ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে। পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন বলেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করি।
টার্মিনাল থেকে মুজাহিদ ক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দেয়। আমরা যথাযথ সময়ে বিক্ষোভ শুরু করলে মাসুম বাজার থেকে পুলিশী বাধার সম্মুখীন হই। পরে মিছিল থেকে ফেরার পথে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি করছি।