স্টাফ রিপোর্টার :
বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের চাঁদমুহা হাটপাড়া গ্রামে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে আমরণ অনশনের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দুপুর ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন প্রেমিকা সালমা বেগম (২৫)।ঘটনাস্থলে গিয়ে অনশনরত সালমা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে দাড়িয়াল উত্তরপাড়া গ্রামের সামছুল হক এর কন্যাকে বিয়ে করেন, বগুড়া সদরের সরলপুর হাটপাড়া গ্রামের বাচ্চালী মিয়ার পুত্র মুনসুর রহমান।
তাদের সংসারে ১ টি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এদিকের সালমার বিয়ের পর থেকে প্রতিবেশী আবু সাঈদের পুত্র তারিকুল ইসলাম তারেক এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় ৩ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেম ভালবাসা সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে এলাকায় জানাজানি হলে সালমার স্বামীসহ এলাকাবাসী তারেক কে নানা ভাবে নিষেধ করলোও সে গৃহবধূ সালমার মোবাইলে ফোন করে সম্পর্ক স্থাপন করেই যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাত ২টায় তারেক মিয়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাড়ীর পাশে একটি মাদ্রাসার পিছনে জঙ্গলে ডাকেন।
এদিকে রাতে স্বামী মুনসুর রহমান প্রাকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে স্ত্রীকে বিছানায় দেখতে পায় না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে উল্লেখ্য জঙ্গলের ভিতরে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে। এসময় মুনসুর চিৎকার করে তারেককে আটকের চেষ্টা করলে সে কৌশলে পালিয়ে যায়।
পরের দিন সকালে এ বিষয়ে সমাজপ্রধানেরা স্থানীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। স্ত্রীর পরকীয়া ও সামাজিক লোকো লজ্জা থেকে বাঁচতে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় মুনসুর। এরপর গৃহবধূ সালমা কোন উপায় অন্তর না পেয়ে সোমবার সকালে বিয়ের দাবীতে তারেকের বাড়ীতে এলে তাকে দেখে দরজা বন্ধ করে তারেকের পরিবার।
একপর্যায়ে তাকে মেনে না নেওয়ায় আমরণ অনশন শুরু করেন প্রেমিকা সালমা। এদিকে প্রেমিকা সালমা আসার টের পেয়ে বাড়ী থেকে আগেই পালিয়ে যায় প্রেমিক। এবিষয়ে অনশনরত সালমার সাথে কথা বললে সে বলেন, প্রায় ৩বছর যাবত তারেক বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে৷
কোনদিন যদি তাদের প্রেমের ঘটনা জানাজানি হয় তখন বিয়ে করবে বলেছে। আজ তারেক কই?। এবিষয়ে তারেকের মায়ের সাথে কথা বললে সে জানান, তারেকের এখানে কিছুই নেই এই বাড়ী-ঘর সব তারেকের বাবার। এখানে এসে কোন লাভ হবে না।