১ মাস পার হলেও মেলেনি নিখোঁজ ছাত্রীর সন্ধান: নিরব ভুমিকা প্রশাসনের

রাজশাহী

রাজশাহী ব্যুরো:

রাজশাহীর বাঘায় নিখোঁজের ১ মাস পার হলেও উদ্ধার হয়নি জোতকাদিরপুর গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী মোসাঃ রুকাইয়া খাতুন ইমা। বিষয়টি নিয়ে চরম হতাশাগ্রস্থ ও দুঃচিন্তায় রয়েছে পরিবারটি।

মেয়েটির পরিবারের সাথে কথা বললে জানাযায়, কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির শিক্ষার্থী ইমা। সে গত ১০ জুলাই ২৩ তারিখে যথা সময়ে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে যায়। কিন্তু স্কুল সময় শেষ হলেও বাসায় ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে মেয়েটির পরিবার।

কিন্তু প্রধান শিক্ষকের কথা শুনে চক্ষুচড়ক হয়ে যায় পরিবারের। কারন মেয়েটি সেদিন স্কুলে উপস্থিত ছিলনা। পরে বিভিন্ন আত্বীয়-স্বজের বাড়ীতে খোঁজাখুজি করেও মেয়েটিকে পাওয়া যায়নি। পরে এলাকার প্রত্যাক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানতে পারেন দিয়াড়কাদিরপুর গ্রামের নাজিম আলীর ছেলে সোহেলসহ ৪/৫ জন মেয়েটিকে নিয়ে গেছে।

এরপর আত্মীয়দের সাথে পরামর্শ করে ঐ দিনেই বাঘা থানায় একটি অপহরনের অভিযোগ করে এবং উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করেন মেয়েটির পরিবার। এরপর সোহেলের পরিবার বিষয়টি জানার পর ঘটনা বেসামাল হতে পারে ভেবে বাড়ির ছেড়ে পালিয়ে যাই।

মেয়েটির পিতা বলছে, বিষয়টি অত্র থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও আমরা কোন সুরুহা পাইনি। পরবর্তীতে জেলা রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নং-২ এ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারা মামলা করেছি।

যার মামলা নাম্বার সিআর -১৬৪পি/২০২৩ (বাঘা)। তবুও কোন সুরুহা না হওয়ায়, সকলের পরামর্শক্রমে গত ১২ আগষ্ট RAB- 5 এর নিকট দ্বারস্থ্য হই। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন।

মেয়েটি বর্তমানে জীবিত আছে কিনা তা কেউ জানেনা । নাবালিকা মেয়েকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার!!! যে কোন ভাবেই হোক মেয়েকে ফিরে পেতে চাই তার পরিবার।

এ ব্যাপারে বাঘা অফিসার ইনচার্জ খাইরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, জেলা রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে মামলা হয়েছে। মেয়েটি উদ্ধারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *