শাহাদত হোসেন রাজশাহী:
রাজশাহীর পুঠিয়ার বেলপুকুরের ঝান্দা বাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে পুকুর খনন ও মাটি বহনের অপরাধে, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে একজনকে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অর্থদণ্ড আদায় না হওয়ায় অনাদায়ে ১৫ (পনের) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুর পরে পুঠিয়ার বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝরের নির্দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), পুঠিয়া, রাজশাহী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক।

বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নের ছান্দাবাড়ি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করার অপরাধে একজনকে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০’ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অর্থদণ্ড আদায় না হওয়ায় অনাদায়ে ১৫ (পনের) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এসময় এক্সক্যাভেটর মেশিন (ভেকু) এর দু’টি ব্যাটারি এবং মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত দু’টি ট্রলি গাড়ি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ট্রলি দু’টি বেলপুকুরিয়া থানার এস আই এর জিম্মায় প্রদান করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন বেলপুকুরিয়া থানা পুলিশের সদস্যগণ।
মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা, আবাসিক এলাকা ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সরকারী স্থাপনার স্থায়ীত্ব বিনষ্ট করা, মাটি পরিবহনের কারণে চলাচলের রাস্তা পিচ্ছিল ও কর্দমাক্ত করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা রোধে মোবাইল কোর্টের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর তিনি বলেন, শুধু পুকুর খনন নয়, উপজেলার মধ্যে অবৈধ অন্যায়ভাবে কোন কাজ করা হলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। আর এসব বিষয়ে মানুষকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।
আমাদের অভিযান চলছে এবং চলতেই থাকবে। উল্লেখ্য যে, উপজেলা বাসুপাড়ার ভেগার মোড় এলাকায় পুকুর ক্ষরণের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে অভিযান পরিচালনার পূর্বে তথ্য নিয়ে দেখেন, একটি আইল এর এপার ওপার পুঠিয়া দুর্গাপুর সীমানা হওয়ায় ওই স্থানে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। পরে দুর্গাপুর থানার সাথে যোগাযোগ করে বন্ধ রাখা হয় পুকুর খনন কাজ।