এমটিএফই অ্যাপে প্রতারণা, জয়পুরহাটে থানায় অভিযোগ

এমটিএফই অ্যাপে প্রতারণা, জয়পুরহাটে থানায় অভিযোগ

রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বিদেশি অ্যাপ মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপে (এমটিএফই) টাকা বিনিয়োগ করে দ্রুত আয় করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন জয়পুরহাটের অন্তত সহস্রাধিক মানুষ। এ ঘটনায় জয়পুরহাটের এমটিএফইর সিইও পরিচয় দেওয়া সাদ আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন মনিরুজ্জামান ইমন নামে এক ভুক্তভোগী।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম সারওয়ার।

অভিযুক্ত সাদ আলম চৌধুরীর বাসা জয়পুরহাট পৌর এলাকার ইরাকনগর মহল্লায়। তার বাবার নাম সহিদুল আলম। আর অভিযোগকারী মনিরুজ্জামান ইমন জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেওয়ানপাড়া মহল্লার মহসিন আলীর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এমটিএফইর শেয়ার কেনার মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করে লাভের প্রলোভন দেখিয়ে মনিরুজ্জামান ইমনের কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার হাজারও শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমটিএফই।

জয়পুরহাট জেলায় এই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন সিইওর মধ্যে সাদ হোসেন চৌধুরী শহরের সবুজনগর এলাকায় অফিস খুলে মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে এমন প্রতারণা করেছেন। প্রতারকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে, সরাসরি অফিসে ডেকে এবং বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে শেয়ার কেনার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করেছেন। বর্তমানে সাদের অফিস তালাবদ্ধ এবং তিনি পলাতক।

অভিযোগকারী মনিরুজ্জামান ইমন বলেন, জয়পুরহাটের সিইও সাদ চৌধুরীর মাধ্যমে প্রতিদিন ১৩০০ টাকা লভ্যাংশের ফাঁদে পড়ে ৬৩ হাজার টাকা এই অ্যাপে বিনিয়োগ করি। অনেক স্বপ্ন নিয়ে টাকা বিনিয়োগ করে এখন প্রতারিত হয়ে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি।

তিনি আরও বলেন, একজন বিনিয়োগকারী অন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ দেখাতে পারলে তিনি সিইও হিসেব নিয়োগ পান। জয়পুরহাটে এরকম সাতজন সিইও আছেন। সেই হিসাবে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা তারা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমরা যেন আমাদের টাকা ফেরত পাই।

বিষয়টি নিয়ে জানতে সাদ আলম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। এমনকি তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম সারওয়ার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য এসআই রেজাউল ইসলামকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *