নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
মিমি পেপার এর পরিচালক শাহাদাৎ বলেন : আমি একদিন বাসার রুমে ঢোকার পর একটি কাচের কলম হাতে নেই এবং সেই কলমটি আমার হাত থেকে পড়ে গিয়ে ভেঙ্গে যায় তার পর হঠাৎ মাথায় আসলো কলমটি শিশ পিন হাতে নিয়ে পেপার দিয়ে সেটার আকার ধারণ করে তৈরি হয়ে গেলো পেপার পেন।
সেখান থেকেই এটার উৎপত্তি। তিনি বলেন এই পেপারে তৈরি কলমের অনেক চাহিদা, এখন বাজারে মার্কেটে স্কুলে,কলেজে সব জায়গায় চাহিদা বেশি। কলমটি লেখা দিচ্ছে অসাধারণ, এবং কলমের ওপর নিজেই মিমি পেপার পেন’ লোগো কাস্টমাইজ করছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে কলমের ওপর যে কোনো নামে লোগো কাস্টমাইজ করে দেন তিনি।
কাগজ দিয়ে কলম তৈরি করে চারিদিকে হৈচৈ ফেলে দিচ্ছেন মিমি পেপার পেন।কাগজের তৈরি কলম মাটিতে ফেললেই হবে গাছ, পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মিমি পেপার পেন এর পরিচালক শাহাদাৎ জানান: এই পেপার কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও আর্ট করতাম। এখন কলম তৈরি করছি। শাহাদাৎ বলেন আমি কলমের এখনো বাজারজাতকরণ করতে পারিনি সেই কারণে কলমটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না প্রাথমিকভাবে কলমটি বিভিন্ন স্কুল – কলেজে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিক্রি করছেন।
এবং এই কলম তৈরির কাজে শাহাদাৎ স্ত্রীও তাকে সহোযোগিতা করে বলে জানান তিনি তিনি আরো বলেন; আমি প্রতিদিনি হাতে করে ১০০-১২০ পিস কলম তৈরি করি এবং প্রতি মাসে ৩০০০ পিস কলম তৈরি করি এবং কলম তৈরির জন্য শিশ ও পেপার কিনতে হয় তার উপর ভিত্তি করেই ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা পিসে কলম বিক্রয় করে থাকি।
তিনি আরো বলে আজ থেকে ৬-মাস আগে বেকার জীবন নিয়ে চলাফেরা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো এবং সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো,,, এখন এই কলম বিক্রয় করে চালাচ্ছি সংসার এবং নিজের পড়াশোনা। তিনি এটাও বলেন আমি ঘরে ঘরে উদ্যক্তা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি,, যেন নারীরা অবসর সময় কাজটি করতে পারে এবং সংসারে উন্নতি আসে।
শাহাদাৎ বাগমারা উপজেলায় নিজ জন্মস্থান তিনি তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। আগামিতে এই পেপার দিয়ে তৈরি করা কলম পুরো বাংলাদেশে চালাবেন বলে আশাব্যাক্ত করছেন তিনি।