স্টাফ রিপোর্টার :
রাজশাহীর বাগমারায় বিয়ের তিন দিনের মাথায় আব্দুর রাজ্জাক (৩১) নামের এক তরুণকে তার স্ত্রী বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মামলার পরে শাপলা খাতুন (১৮) নামের ওই নববধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের সাঁইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার মোহনপুর উপজেলার ধুরুল ইউনিয়নের মো. শুকুরদির ছোট মেয়ে শাপলা খাতুন ও সাঁইপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের তিন দিনের মাথায় সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুর রাজ্জাককে বালিশচাপা দিয়ে শাপলা খাতুন হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ শাপলা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
রফিকুল ইসলাম জানান, ধুমধাম করে ছেলে আব্দুর রাজ্জাককে শাপলার সঙ্গে বিয়ে দেন তিনি। বিয়ের পর ছেলে ও পুত্রবধূর মধ্যে কোনো ঝগড়া-বিবাদ কিংবা মান-অভিমান লক্ষ্য করেননি। হঠাৎ এই ঘটনার কারণ বুঝতে পারছেন না।
এজাহারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সুব্রত কুমার দাস জানান, ঘটনার রাতে খাবার শেষে স্বামী-স্ত্রী ঘুমানোর জন্য ঘরের দরজা বন্ধ করেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা তখন ঘুমিয়ে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ শব্দ পেয়ে বাবা রফিকুল ইসলামের ঘুম ভেঙে যায়।
তিনি ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের ঘরের দরজায় করা নাড়তে থাকেন। ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে জোরে জোরে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। একসময় শাপলা দরজা খুলে দিলে তিনি তার ছেলের লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, একমাত্র আসামি শাপলা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।