দুর্গাপুরে চলছেই পুকুর খনন নষ্ট হচ্ছে রাস্তা মাটি যাচ্ছে পবা উপজেলাতেও

রাজশাহী

শাহাদত হোসেন রাজশাহী:

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ৫নং ঝালুকা ইউনিয়নের হাড়িয়াপাড়া বিলে চলছে বিশাল পুকুর খননের কাজ। আর এই পুকুর খননের মাটি যাচ্ছে দুর্গাপুর উপজেলার আশেপাশের প্রায় সব উপজেলা গুলোতে। মাটি বিক্রি চলছে বিভিন্ন ইট ভাটায়, এতে করে দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ও পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নে কাঁচা-পাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে এ যেন দেখার কেউ নেই।

অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা ক্ষমতাশীল হওয়ায় সাধারণ মানুষরা ভয়ে কিছু বলার সাহস পায় না। এভাবে পুকুর খন্ডের মাটি দুর্গাপুর পাওয়া সহ কাঁচা পাকা রাস্তা নষ্ট করে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষসহ, জনপ্রতিনিধিরাও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এ মাসের ১ তারিখে ওই পুকুর খনন ও রাস্তা নষ্ট করার বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানাকে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি বলেন, আমার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে লোকেশন দিয়ে রাখেন ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউএনও’কে জানানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি সেই পুকুর খনন কাজ। যদিও তিনি বলেছিলেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পুকুর খনকারীরা এই সুযোগে করে চলেছেন নির্দ্বিধায় বাধাহীনভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন।

জানা যায় প্রায় ১ মাস ধরে পুকুর খনন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি, ওই এলাকাতে তার অনেকগুলো পুকুর আছে, প্রতি বছরই সে পুকুর খনন করে বেশ কিছু প্রভাবশালী লোকদের সাথে নিয়ে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে হাড়িয়াপাড়ার মেম্বার ইসানুর রহমান তিনি বলেন, আমি বললেও শোনে না, এলাকার রাস্তা ঘাট যাতে, না নষ্ট হয় সেটা আমিও চাই।

এবিষয়ে ঝালুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আক্তার হোসেন তিনি বলেন, প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না, কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না পুকুর খনন। আমার ইউনিয়নের রাস্তা ঘাটের বাপ-মা নেই। থাকলে এমনটা হত না।

এই বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৃষ্ণ চন্দ্র তিনি বলেন, তহসিলদার গিয়ে বন্ধ করে এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লসমী চাকমা তিনি বলেন, আসলে মাটি কাটার মূল সোর্স আগে বন্ধ করতে হবে সেটা তো দুর্গাপুর উপজেলার মধ্যে হচ্ছে আপনারা একটু ওখানে যেন মহোদয়ের সাথে কথা বলেন।

এছাড়াও আমার এলাকার মধ্যে আমি থানার ওসি সাহেবকে বলে দেব। যেন রেগুলার মনিটরিং করেন এবং রাস্তা যারা নষ্ট করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনেন। এছাড়াও যতগুলো উপায় আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা থাকবে।

উল্লেখ্য যে, এবছর রাজশাহী জেলার মধ্যে ফসলি জমি নষ্ট করে, সবচেয়ে বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে দুর্গাপুর উপজেলার মধ্যে। পাশাপাশি অন্য উপজেলাগুলোতে রাতের আঁধারে চুরি করে কেউ কেউ করেছেন পুকুর খনন কাজ কিন্তু দুর্গাপুর উপজেলায় দিনে এবং রাতে সকলের চোখের সামনে ফসলে জমি নষ্ট করে করা হয়েছে পুকুর খনন কাজ।

এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে বহু সাংবাদিক একাধিকবার বললেও কোন কাজে আসেনি। আবার মাঝে সাঝে দেখা গেছে কোথাও ৫০ বিঘা পুকুর খননের বিরুদ্ধে মাত্র ছয় হাজার টাকা জরিমানা করার মতন দৃশ্য।

পাশাপাশি পুঠিয়া উপজেলা কয়েক জায়গায় পুকুর খলন কাজ শুরু করলে সেখানকার কর্তা ব্যক্তিরা দ্রুতগতিতে গিয়ে মোটা অংকের জরিমানা ও স্কেভেটর জব্দ করার ফলে বর্তমানে উপজেলাটিতে রয়েছে পুকুর খনন কাজ প্রায় বন্ধের দিকে। সাধারণ মানুষটা মনে করছেন বেশি বেশি অভিযান পরিচালনা করলে রক্ষা পেতে পারে ফসলি জমি সহ রাস্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *