স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহীর জেলার পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষের জমিতে অবাধে চলছে পুকুর খনন। এতে বিপাকে স্থানীয় কৃষকরা। বিশেষ করে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বড় কাজুপাড়া হোসেনের বটতলার বিলে সরকারের আদেশ-নিষেধ অমান্য করেই প্রায় ৬০ বিঘা কৃষি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করছেন বাগমারা উপজেলার প্রভাবশালী আবদুল লতিফ।
জমির মালিকদের অনেকের অনুমতি ছাড়াই একরকম জোরপূর্বক পুকুর খনন করা হচ্ছে কৃষকদের বাধঅ ও সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে গত কয়েকদিন ধরে লতিফ ৬০ বিঘা কৃষি জমি ধ্বংস করে পুকুর খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না। এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের কোন নজর বা দৃষ্টি নেয়।
এছাড়াও এই পুকুর খননের মাটি চলে যাচ্ছে স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে সারারাত পর্যন্ত কয়েকটি ট্রাকে এসব মাটি পরিবহন করা হচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে সরকারের কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরী করার নতুন পাকা রাস্তা। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, পুকুর খননের ফলে ইতিমধ্যে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে ইতোমধ্যেই এই বিলে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে শুরু করেছে। এতে ওই বিলের জমিতে ফসল ফলানো অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এছাড়াও মাটি পরিবহনের কারণে পাকা রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক জালালুর রহমান বলেন, ওই পুকুর খননের কারনণ দুই শতাধিক বিঘা আবাদি জমিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এতে ওই বিলে ফসল উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, যিনি পুকুর খনন করছেন তিনি বাগমারা উপজেলার অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারছি না।
স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। ও ব্যক্তির স্থানীয় প্রশাসের সাথে ব্যাপক সখ্যতা রয়েছে। এই জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সহজে ম্যানেজ করে তিনি অনায়াসে অবৈধ পুকুর খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।