পুঠিয়া প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে পূর্ব শক্রতার জেরে এক নারীকে মারধরের পরে তার হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পুঠিয়া পৌর ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সরণ ও পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শায়েখ এবং তাদের বাবা সেলিম ইবনে টিপুর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর)রাতে পুঠিয়া উপেজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী নারী আসমা বেগমের স্বামী জাহাঙ্গীর বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ করেন । এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ঐ নারীর ছেলে মেহেদী হাসানের সাথে পূর্বশত্রুতার জেরে পুঠিয়া পৌর ছাত্রলীগ নেতা সরণ ও শায়েখ এবং তার বাবা সেলিম ইবনে হক টিপু শনিবার রাতে পুঠিয়া উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরে সামনে হাসুয়া ও হাতুড়ি দিয়ে মারতে আসে।
এসময় মেহেদীর মা আসমা বেগম তাদের বাধা দিতে গেলে তাদের হাসুয়ার কোপে আসমা বেগমের ডান হাতের ২টি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। এ সময় মেহেদী হাসানের বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। ঘটনার পর ভুক্তভোগী আসমা বেগম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১ নম্বর ওয়াডে ভর্তি রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত সরণ ইয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করে। পাখি শিকার করাকে কেন্দ্র করে দুই বছর আগে জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সাথে তাদের ঝামেলাপ হয়। পরে ওই বিষয়টি পুঠিয়ার এক আওয়ামীলীগ নেতা মীমাংসা করে দেন।
কিন্তু গত শুক্রবার এই বিষয়ে আবার নতুন করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে সরণের বাবার টিপুর নির্দেশে সরণ গিয়ে হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরে পারভীন বেগমের বাম হাতের ২টি আঙুল কাটা পড়ে এবং কবজির রগ কেটে যায়।
এ বিষয়ে পুঠিয়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিৎ ঘোষের সঙ্গে মঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এবং পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হাদিদ আলীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে জানা যায়, ঝলমলিয়া হাট ইজারাদার কে কুপানোর দায়ে সাধারণ সম্পাদক হাদিদ জেল হাজতে আছে। পুঠিয়া থানার ওসি ফারুক হোসেন জানান, ঘটনার পর জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৩ জনের নামে মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত সরণ ও তার বাবা টিপুকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।