স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার চুরি করে দেশকে ফোকলা বানিয়েছে। তারা টাকা চুরি করে বিদেশে পাঠায়, আবার নির্বাচনের সময় ভোট চুরি করে। তাই এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া সদরে এরুলিয়ে হাট চত্বরে তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আবারও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। কেন? মানুষের ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার ও বেঁচে থাকার অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপির এ আন্দোলন। অবৈধ সরকার বলেছিল ১০ টাকার চাল খাওয়াবে।
চালের দাম এখন কত? আমার মা-বোনেরা সন্তানদের একটি ডিম খাওয়াতে পারে না। বছরে তিন থেকে চারবার বিদ্যুৎ ও তেলের দাম বাড়ে। সরকার বাজার সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে বলে ফিক্সড করে দিলাম! ফিক্সড করলে কি দাম কমে যায়? এ সরকার শুধু দ্রব্যমূল্যর দাম কমাতেই নয় রাষ্ট্র পরিচালনাতেও ব্যর্থ।
তিনি বলেন, ‘সরকার নিজেদের গদি বাঁচাতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেল দিয়েছে। উনি এখন হাসপাতালে। দেশের ৪০ লাখ মানুষ মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। সাঈদী সাহেবকে যেভাবে জেলে ঢুকিয়ে মেরে ফেলেছে, দেশনেত্রীকে নিয়েও একই পথে হাটছেন তারা। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ সরকারে পতন ঘটিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফেরানো হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রেখে মারতে চায় সরকার। বিরোধী নেতাকর্মীদের মামলা, গ্রেফতার আর সাজা দিয়ে বিরোধী মাঠ শূন্য করার চক্রান্ত করছে। সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে।
রোডমার্চের আগে সংক্ষিপ্ত পথসভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এম এম জিলানী।
পথসভার সঞ্চালনা করেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে বগুড়াসহ জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীরা পথসভা স্থলে খণ্ডখণ্ডভাবে সমবেত হতে থাকেন। সভা শেষে সেখান থেকে মোটরসাইকেল, বাস ও ট্রাকসহ হাজারো যানবাহন নিতে বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চ নওগাঁমুখী হয়ে রাজশাহী দিকে রওনা দেন।