স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার দিঘলকান্দি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম নজরুল ইসলাম (৫২)। তিনি উপজেলার জোনাইল বাজারের বাসিন্দা ও জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় মোস্তফা হোসেন (৩৫) ও আহসান আলীর (৪০) বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তারা উপজেলার খাক্ষা গ্রামের মৃত আমজাদ খাঁয়ের ছেলে।
জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক বলেন, আমি ও গোপালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, চান্দাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু ও নজরুল ইসলাম প্রয়াত এমপির দোয়ার অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম। দিঘলকান্দি বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে মোস্তফা হোসেন ও আহসান আলীসহ ১০-১২ জন নজরুল ইসলামকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে মারপিট শুরু করেন। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়।
লিটন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, নজরুল ইসলাম ও মোস্তফা হোসেন প্রয়াত এমপি আব্দুল কুদ্দুসের অনুসারী। প্রায় দুই বছর আগে জোনাইল বাজারে নজরুল ইসলাম সমর্থকদের সঙ্গে মোস্তফা হোসেনের ভাই আহসান আলীর দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরে আহসান আলীর পা ভেঙে দেওয়া হয়। তারই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু বলেন, আমাদের মোটরসাইকেল থামিয়েই তারা বলে, ‘তোর মরা বাপকে (প্রয়াত এমপি) কবর থেকে তুলে নিয়ে আয়। দেখি তোকে কে বাঁচায়’। বলেই মারপিট শুরু করে।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমার অনুসারীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। তবে সেই সময়ই এর মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোস্তাফা হোসেন বলেন, ‘আমার ভাইকে তারা মেরে পা ভেঙে দিয়েছিল। আমরা তো সামান্য কয়েকটা চড়-থাপ্পড় দিয়েছি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নজরুল ইসলামের ভাই গোলজার হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।