রাজশাহীর ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে গ্রাহকের পৌনে ৩ লাখ টাকা গায়েব!

রাজশাহীর ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে গ্রাহকের পৌনে ৩ লাখ টাকা গায়েব!

রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ইস্টার্ন ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে এক গ্রাহকের পৌনে তিন লাখ টাকা গায়েব হয়ে গেছে। বিকাশের ১০টি নম্বরে এ টাকা পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকের দাবি, টাকা বিকাশে পাঠানোর বিষয়টি তিনি জানেন না।

ভুক্তভোগী ওই গ্রাহকের নাম আতিকুর রহমান। তিনি একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা।

এ ঘটনায় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা করেছেন আতিকুর রহমান। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগী আতিকুর রহমানের পক্ষে আদালতে মামলাটি করেন আইনজীবী শাহীন আলম মাহমুদ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আতিকুর রহমান গত ১৫ আগস্ট ব্যক্তিগত কাজে ভারতে যান। ১৯ আগস্ট তিনি দেশে ফেরেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর তিনি ব্যাংকে টাকা তুলতে যান। তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, তার হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা নেই। কিন্তু আতিকুর রহমানের জানামতে তার হিসাবে টাকা থাকার কথা।

এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্টেটমেন্ট নেন। সেখানে দেখা যায়, ১৬ ও ১৭ আগস্ট তার ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়। ১০টি বিকাশ নম্বরে টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার হিসাব থেকে মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

আইনজীবী শাহীন আলম মাহমুদ জানান, দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য ব্যাংকে ডলার এনডোর্স করতে গিয়েছিলেন আতিকুর রহমান। সে কারণে তিনি যে ভারত যাচ্ছেন, তা ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তাই জানতেন। আতিকুরের সন্দেহ, তার অনুপস্থিতিতে ব্যাংকের এক বা একাধিক কর্মকর্তা এ টাকা তুলে থাকতে পারেন।

টাকা তোলার বিষয়টি জানতে পারার পরদিন (৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর বোয়ালিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আতিকুর রহমান। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তও করে। এরপর সোমবার আদালতে মামলা করেন আতিকুর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক আবির আহমেদ খান বলেন, ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তিনি কোনো কথা বলতে পারবেন না।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৫ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *