মোহাম্মদ লিয়াকত হোসেন রাজশাহী:
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের এমাদপুর জান্নাতুল ফেরদৌস গোরস্তানের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মানিকের বিরুদ্ধে ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোরস্থানটির বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোরস্থান কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, রাজশাহী কাটাখালি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড এমাদপুর “জান্নাতুল ফেরদৌস গোরস্থানের” প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা আত্বসাৎ করেন, কাটাখালি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো: মানিক আলী, গোরস্তানের আগের কমিটির সভাপতি থাকা অবস্থায় তিনি এই টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনার বিষয়ে গোরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান আলী বলেন, আমি গোরস্তানের শুরু থেকেই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। এই গোরস্তানে ১৩৫৭ জন সদস্য আছেন। গোরস্থানের নামে ৯ কাঠা জমি আছে। গোরস্থানের শুরুতে মো: মানিক আলী কাটাখালী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকায় তাকে সভপতি করা হয়। শুরুতে সকলের সহযোগীতায় ৩ কাঠা জমি ক্রয় করা হয়।
এরপর বিভিন্ন কু কর্মের মামলায় মানিক কারাগারে যায়। পরে আমরা মানিককে ছাড়াই আরো ৬ কাঠা জমি ক্রয় করি। মো: মানিক গোরস্তানের কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করেননি। তিনি আমাকে কোন কাজে সঙ্গেও নিতেন না।
তিনি নিজে পাঁচজনকে নিয়ে তার পকেট কমিটি বানিয়ে এমপি আয়েন উদ্দিনের দেওয়া সরকারি ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা এবং এলাকাবাসীর দেওয়া প্রায় ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা। সর্ব মোট ১৩,০০,০০০/- (তের লক্ষ) টাকা আত্বসাৎ করেন। ফান্ডে কোন টাকার হদিস নেই। টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মারমুখী আচরণ করেন।
আবার তিনি থানা পুলিশ দিয়ে হয়রানিও করেন, বর্তমানে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মানিককে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে ও তার বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ঠ দফতরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।এ বিষয়ে কমিটির বর্তমান সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন,
২০১৪ সালে গোরস্তান শুরু করা হয়। তখন কাটাখালি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন মো. মানিক আলী, সেই দিক বিবেচনা করে তাকে সভাপতি করেন এলাকাবাসী। কিন্তু এখন ফান্ডে কোন টাকা নেই। ফান্ডের সমস্ত টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন।
কাজেই এলাকাবাসী এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৪ সালে ১৩৫৭ জন সদস্য নিয়ে গোরস্থানের যাত্রা শুরু করা হয়। তখন কাটাখালি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন মো: মানিক, সেই দিক বিবেচনা করে তাকে সভাপতি করা হয়। ফান্ডে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে শুন্য। সমস্ত টাকা মানিক আত্মসাৎ করেছেন, এখন ফান্ডে কোন টাকা নেই।
এ ব্যাপারে রাজশাহী কাটাখালী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো: আনোয়ার সাদত নান্নু বলেন, হিসাবের গড়মিলের খবর পাওয়ায় আমি দিতে চাওয়া ১ লক্ষ টাকা এখনও দেইনি ; তবে রাজশাহী ৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন এমপি’র দেয়া ৩ লক্ষ টাকা কোথায় কিভাবে খরচ হয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এই টাকা কি কাজে ব্যবহার হয়েছে তা আমার জানা নাই।