একটু বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় বাড়ি-ঘর এ যেন দেখার কেউ নেই!

রাজশাহী

মোঃ ইসরাফিল হোসেন রাজশাহী:

রাজশাহীর পুঠিয়ার, ধোপাপাড়ায় মাত্র কয়েকজন প্রভাবশালীদের দখলে একটি খাল। এতে করে চড়ম ভোগান্তিতে পড়েছেন ধোপাপাড়ার মোহন পুর কারিতাস অফিস পাড়ার ওই গ্রামের মানুষেরা। খালটি উদ্ধারে পুঠিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায় নি।

ধোপাপাড়ার মোহনপুর কারিতাস অফিস পাড়ার ওই গ্রামে প্রায় ৫০০ লোকের বসবাস। উপজেলার মোহনপুর রুবি আর্টের বাড়ি থেকে মোহনপুর আলিম মাদ্রাসার নিকট দিয়ে বয়ে যাওয়া বড় ওই খালটি সংযুক্ত ছিল। এবং পানি নামতো। বর্তমানে মোহনপুর রুবি আর্ট এর বাড়ি থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত যে খালটি ছিল তা এখন মাত্র কয়েকজন প্রভাবশালীর দখলে চলে যাওয়ায় চড়ম ভোগান্তিতে পড়েছেন উক্ত এলাকাবাসীরা।

১৮ চওড়া এবং প্রায় আধা কিলোমিটার দূরত্বের ওই খালটি পুরোপুরি প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়ে কেউ কেউ এখন স্থাপনা নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি আশঙ্কা করা হচ্ছে গ্রামের সাধারণ এলাকাবাসী ও খাল দখলকারী প্রভাবশালীদের মাঝে যেকোন মুহূর্তে বাধতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

খালটি উদ্ধারের জন্য এবছরের মার্চ মাস ের ২২ তারিখে জিও পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসনেয়ারার সুপারিশযুক্ত একটি দরখাস্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর করলেও তাতেও কোন ফল আসেনি। পরবর্তীতে এলাকাবাসীরা, আবারও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রভাবশালীরা পুরোপুরি ভাবে স্থাপনা নির্মাণের জন্য সেখানে ভরাটকৃত খালের উপর বিভিন্ন রকমের গাছপালা লাগিয়ে ইট ফেলে রেখেছে। ১৮ ফিট চওড়া খালটি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে কাজের প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মৃত, আব্দুল মালেকের ছেলে আফেজ উদ্দিন।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে আফাজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি, জমির ক্রয় করে সেখানে থাকা ১৮ ফিট চওড়া খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেখা গেছে সেখানে খালটি ভরাট করার ফলে ওই এলাকার মানুষের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে তলিয়ে যেতে। খালতি ভরাটের ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যেও রয়েছেন ওই এলাকার মানুষেরা।

জানতে চাইলে স্থানীয় এলাকাবাসী আব্দুর রহম, নাফিউ রহমান, মোঃ মামুন, মোঃ হাচেন আলী, মোঃ আব্দুর রহিম, আশরাফুল ইসলাম সহ তাদের সকলের একই রকম বক্তব্য যে, ১৮ ফিটের খালটি জবরদখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী আফাজ উদ্দিন সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইছেন। এই বিষয়ে তাদেরকে তাকে বললে সে গ্রামবাসীদের কে হুমকি দেয়। আমরা খুব দ্রুত এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে। খাল ভরাটের অভিযুক্ত আফাজউদ্দিন তিনি বলেন, আমি খাল ভরাট করিনি বা গাছ লাগাইনি। আমি যার কাছ থেকে জমি কিনেছি ওই ব্যক্তি ডাব গাছ লাগিয়ে রেখেছিল। আমি যতদূর জানি খালের মধ্যে গাছ লাগানো নেই তবে আইলের উপর গাছ লাগানো আছে।

এছাড়াও জমি কেনার পর আমি আমার জমি ভরাট করতে গিয়ে কিছুটা মাটি খালের জায়গায় পড়েছে। সেগুলো আমি জমি মাফ যোগ করার সময় তুলে নেব। এখন বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টি না হলে আমিন নিয়ে এসে জমি মেপে খালের জায়গা বের করে দিতাম।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম নুর হোসেন নির্ঝর তিনি বলেন, দরখাস্ত আগের অফিসারকে দিয়েছিল কিনা আমি জানিনা। তবে নতুন করে অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *