মোঃ কায়েস উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি নাটোর:
নাটোরে লালপুরে বীথি নামক স্বাস্থ্য সেবিকার লাশ উদ্ধারে ১২ ঘন্টা মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটনে সম্পর্কের দ্বন্দ্বে প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা বিথী খুন হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় প্রেমিক মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ নভেম্বর ) আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলখানাতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুরের কামারদহ গ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মোঃ সোহরাব হোসেনের ছেলে।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)উজ্জল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার বরমহাটি গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি সহকারি মাহমুদা আক্তার বীথি ক্লিনিকে ডিউটি শেষ করে বৃহস্প্রতিবার বিকেলে বাড়ি চলে যান, শুক্রবার সকালে উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার মধু বাড়ি মহল্লার তোপা কাটা মোর এলাকায় একটি আম বাগানে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। দুই সন্তানের মা নিহত বিথি স্বামীর সাথে দুই বছর আগে তালাক হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামি করে থানা এজাহার দায়ের করেন, লালপুর থানায় এর মামলা নং ২১, (২৪/১১/২০২৩ইং)
ধারা – ৩০২/৩৪ পেনাল কোড)
জানা যায় ছয়- সাত মাস আগে জমি রেজিস্ট্রি করার সময় বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাদ্দাম ও বিথির পরিচয় হয়, পরিচয় থেকে ভালো লাগা তারপর ভালোবাসায় পরিণত হয়।
নাটোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম- লালপুর সার্কেল) শরীফ আল রাজীব বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দাম হত্যার ঘটনায় নিজেকে সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার করেছেন। তার দেখানো মতে ঘটনা স্থলের পাশে ঝোপ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
সাদ্দামের সাথে বিথির দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক চলে আসছিল, একপর্যায়ে বীথি আসামি সাদ্দামকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাদ্দাম এতে অপারগতা জানিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাদ্দাম কৌশলে বীথিকে ডেকে নেয়, এরপর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার তোপাকাটা এলাকায় রাস্তার পাশে আম বাগানে তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে।