স্টাফ রিপোর্টারঃ
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ার ঝলমলিয়ায় সামনে থেকে বাসের ধাক্কায় এক ভ্যানচালক ও এক বৃদ্ধা নারী যাত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ব্যক্তিরা হলেন, নাটোর গোকুলনগর, বটতলা বোলাকান্দি এলাকার মৃত লক্ষন কুমার এর স্ত্রী শান্তি রানী (৮০) এবং রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধনঞ্জয় পাড়া এলাকার মৃত নোরা বিশ্বাসের ভ্যানচালক ছেলে নিমাই বিশ্বাস (৪৫) কে সামনে থেকে সজরে ধাক্কা দিলে ভ্যান গাড়িটি দুমড়ে মুছে যায় এবং তারা গুরুতর আহত হয়।
পুটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই এক্সিডেন্টের বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরক্ত এক প্রাথমিক চিকিৎসক তাদের ব্যক্তিগত শারীরিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বলেন, বিকেলের দিকে অ্যাক্সিডেন্ট হওয়া দুটি রোগী ভর্তি হয় এখানে। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া শুরু করি।
এতে করে মনে হলো ওই দুই জন রোগীর তাদের বাম পা হয়তো কেটে ফেলতে হতে পারে, মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে ওই দুর্ঘটনার শিকার নারী রোগীর বাম পা একেবারে ভেঙ্গে গিয়েছে। এবং পুরুষ রোগীর অবস্থাও প্রায় একই রকম। আসলে পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না তাদের কি অবস্থা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুঠিয়া উপজেলার ধনঞ্জয় পাড়ার নিমাই বিশ্বাস ভ্যানগাড়িতে করে চারজন যাত্রী নিয়ে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ঝলমলিয়া বাজার নামক স্থানে পৌঁছালে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস সজোরে সামনে থেকে ধাক্কা দিয়ে তাদেরকে রাস্তার সাইড আইল্যান্ডের সাথে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
পরে তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনের যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া ফায়ার স্টেশনের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, বিকেলে আমাদের জরুরি নাম্বারে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে একটি কল আসে পরে সেখান থেকে দুজনকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
দুর্ঘটনার বেপারে জানতে চাইলে, ওই বিষয়ে ৬ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও পবা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোতালেব হোসেনের কিছু জানা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।