স্টাফ রিপোর্টারঃ
অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সর্বোচ্চ আদালত থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান। কয়েক দিন আগেই প্রচার-প্রচারণার জন্য তাকে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছিলেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু প্রচারণা শুরুর সপ্তাহ পার না হতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এসময় নৌকাকে হারাতে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানীকে প্রকাশ্যেই সমর্থন জানান।
আখতারুজ্জামান বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলাম। সুপ্রিম কোর্টে আমার মনোনয়ন ফেরত পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করি। আমার নির্বাচনী প্রতীক ঈগল। তবে নির্বাচনী কার্যকলাপের সময় উপলব্ধি হয়েছে যে, আমার এবং গোলাম রাব্বানীর (স্বতন্ত্র প্রার্থী) একটিই উদ্দেশ্য। আর সেটি হলো- গোদাগাড়ী-তানোরকে রাহুমুক্ত করা। গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের একসঙ্গে পথ চলা।
তিনি আমার বয়সে বড় এবং গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সেক্ষেত্রে আমার উপলব্ধি হয়েছে, আমি তাকে ছেড়ে দিলে তিনি এমপি হতে পারবেন। যেহেতু উনি আমার বড় ভাই, দীর্ঘদিন ধরে তিনি এটা প্রত্যাশা করে আছেন। তাই আমার উপলব্ধি হয়েছে তাকে সম্মান জানিয়ে সরে আসা দরকার। সেই প্রেক্ষিতে নির্বাচন থেকে সরে আসলাম। আমি আমার সর্বোচ্চ, মেধা, শ্রম ও নেতাকর্মীসহ গোলাম রাব্বানীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাকে জয়যুক্ত করার চেষ্টা করবো।
এসময় উপস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি আখতারের কাছে সুযোগ চেয়েছি, তিনি আমাকে সমর্থন ও সম্মান দিয়েছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। ৭ জানুয়ারি আমাদের জয় হবে ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ বলেন, ১৭ ডিসেম্বরের পর অফিসিয়ালি কোনো প্রার্থীর নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আর সুযোগ নেই। কেউ প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলে সেটি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। নির্বাচনী ব্যালটে তার নাম ও প্রতীক থাকবে।
উল্লেখ্য, তানোর-গোদাগাড়ী আসনের সংসদ নির্বাচনে বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিসহ ১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। আখতারুজ্জামান সরে যাওয়ায় এ আসনে এখন প্রার্থী সংখ্যা থাকলো ১০ জন।