শাহাদত হোসাইন, রাজশাহী:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ রয়েছে। কোথাও কোন পুরাতন পুকুর খনন করতে চাইলে তা যথাযথ নিয়ম মেনে দরখাস্ত করে তারপর অনুমোদন নিতে হয়। সেখানেও বলা থাকে পুকুর খননের মাটি যেন কোন পাকা বা কাঁচা রাস্তায় না উঠে। তবুও একশ্রেণীর অসাধু মাটি খেকো অবৈধ পুকুর খননকারীরা রাতের আঁধারে পুকুর খনন করেই চলেছে।
মাটি বহনকারী ট্রাক্টরে রাস্তা নষ্টের বিষয়ে এলাকাবাসীর মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারঘাট উপজেলার, শলুয়া ইউপির ধর বান্দার বিল, বালাদিয়ার এলাকার, সাবেক দুলাল মেম্বারের বাড়ি থেকে বালাদিয়ার বাজারে যাবার রাস্তার সাথে পুকুর খনন চলছে। আরো বেশ কয়েকদিন খনন কাজ চলতে পারে। আর সেখান থেকেই সবার চোখের সামনে দিয়ে রাস্তা নষ্ট করে বিভিন্ন জায়গায় চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব।
দিনের বেলায় পুকুর খনন করে সরকারি কাঁচা পাকা রাস্তা নষ্ট করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করছেন চারঘাটের শলুয়া এলাকার জরিপ নামের এক পুকুরকারী। যার পেশা প্রতি বছরই কুকুর খনন করা ও বিভিন্ন জায়গায় মানুষের চলাচলের রাস্তা নষ্ট করে মাটি বিক্রি করা। এই কাজে তাকে এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে সহায়তা করছে পুঠিয়ার রুবেল নামের আরো একজন ব্যক্তি এবং সাথে আরো সহায়তা করছে চারঘাট এলাকার বেলাল নামের আরেক জন।
এবার এমন একটি পুকুরের সন্ধান পাওয়া গেল, যেখানে গত প্রায় ২৫ দিন যাবত রাত নয়, দিনেই চলছে সকলের নাকের ডগায় পুকুর খনন কাজ। আর সেই পুকুর খননের মাটি বিভিন্ন ভাটার ও বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে। দিনের বেলায় হরহামেশায় সরকারি কাঁচা পাকা সব রকম রাস্তা দিয়ে চলছে মাটি বহনের কাজ। মাটি পড়ে এবং অবৈধ ট্রাক্টর চলাচলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারি কোটি কোটি টাকা খরচ করে বানানো রাস্তা গুলো। অনেকেই হাস্যর রস করছেন আর বলছেন এ যেন দেখার কেউ নেই।
দিনের বেলা পুকুর খনন করে মাটি, রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সবার চোখের সামনে দিয়ে, মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচলে নিষেধ করেছিলেন তাতেই হয়েছে মারামারি পরে মীমাংসাও হয়েছে।
এই ঘটনায় বেশ কিছু গ্রামবাসীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, স্থানীয় কামরুল মেম্বারের জায়গায় পুকুর খনন করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি চলছে। এতে করে এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তা ব্যাপকভাবে মাটি পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে নিষেধ করলেই বাঁধে দ্বন্দ্ব। তাই পুকুর খননকারীদের কাছে গ্রামবাসীরা অসহায়।
চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এই বিষয়ে মুঠোফোনে বলেন, আমরা আজকেও অভিযান পরিচালনা করেছি। নাম ঠিকানা তথ্যগুলো দিন, খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোঃ সোহরাব হোসেন, চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, আজই দুই জায়গায় ভ্রাম্যমান চালিয়েছে। ওই এলাকায় যে পুকুর খনন করে মাটি বহন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে আর মাটি পড়ে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে এটা রীতিমতো অন্যায় এ বিষয়টা আমার জানা ছিল না। বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।